
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের ছুড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। একের পর এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী আবাসে যাতে দেখা গেছে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। যুদ্ধের আবহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নির্দেশ দেশজুড়ে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধের টানাপোড়ানের মধ্যে দেশের কয়েকটি রাজ্যকে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে মহড়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আগামীকাল অর্থাৎ ৭ মে, বুধবার যুদ্ধ কালীন পরিস্থিতির মহড়া চালাতে বলা হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যকে। একটি সরকারি সূত্রের দাবি, রাজস্থান, গুজরাত, পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিমান্ত এলাকায় এই মহড়া চালানো হতে বারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া চলবে। মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও।
কিভাবে হবে এই মহড়া, আপনি কি করবেন…? –
১. যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় বাজবে যুদ্ধকালীন সতর্কতা সাইরেন।
২. যুদ্ধকালীন সময়ে সুরক্ষার স্বার্থে সাধারণ মানুষ, বিশেষত পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে, হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কী ভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হবে। তা সুনিশ্চিত করা।
৩. মহড়ায় অংশ নেবেন জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক, নাগরির সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডরা। এ ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের।
৪. শাত্রু পক্ষের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করতে বিস্তীর্ণ এলাকার আলো নিবিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হতে পারে। এইসব বিষয়েও রাত্রিকালীন সময়ে মহড়া করা যেতে পারে।
