ডেস্ক রিপোর্টঃ
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পর এনডিএ-এর দুর্বল হওয়ার রাজনৈতিক গুঞ্জন ছিল। নিতিশ-চন্দ্রবাবুর চাপে মোদীর শক্তি কমানোর অপেক্ষায় ছিল বিরধীরা। কিন্তু শেষ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলের পর বাতাস কিন্তু উল্টো দিকে বওয়া শুরু হয়েছে। এবার ইন্ডিয়া জোটে ফাটলের খবর সামনে আসছে। একদিকে তৃনমুলের মমতাকে ইন্ডিয়ার মুখ করার দাবি উঠছে, অন্যদিকে দিল্লি নির্বাচনের প্রাকলগ্নে কংগ্রেসকেই ইন্ডিয়া জোট থেকে বাদ দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি বিরোধী জোট থেকে কংগ্রেসকে বহিষ্কার করার দাবি তুলেছে। ইতিমধ্যেই জোটের সহযোগী দলগুলির কাছে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে কেজরী । দিল্লির বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন বুধবার কেজরীওয়ালকে ‘ফর্জিওয়াল’ (জালিয়াত) বলেন। দলের তরফে আপের বিরুদ্ধে ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করার দাবি তুলেন।তিনি আরও বলেন কেজরীওয়ালের নাকি কোনও মতাদর্শ নেই।তারই জবাবে আপ এবার কংগ্রেসের বিরোধীতায় মাঠে নেমেছে । যে লোকপাল আন্দোলন থেকে আপের জন্ম, দিল্লি এবং পঞ্জাবে সেই লোকপাল গঠন করা হয়নি কেন সে প্রশ্নও তোলেন মাকেন। এর মধ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ দীক্ষিতকে প্রার্থী করেছে। সাত মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস এবং আপ। কিন্তু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির সাতটি আসনেই বিজেপি জিতেছিল। প্রতিবেশী হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটে জোটে না এসে ধরাশায়ী হতে হয়েছিল কংগ্রেসকে।এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অখিলেশ যাদব। সংসদ চত্বরে আদানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর দেখা যায়নি অন্যান্য শরিক দলের নেতাদের। ফলে কংগ্রেসের একতরফা সিদ্ধন্ত মেনে নিতে পারছেন না ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিক দলেরা। তাই বলা যায় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ইন্ডিয়া জোটের এই ফাটল আবারো রাজনৈতিক লাভালাভের পথ মসৃন করছে বিজেপির জন্য।