তেলিয়ামুড়াঃ
নেশা বিরোধী অভিযানের নামে পুলিশি নজরদারির মধ্যে রোজ কোটি কোটি টাকার অবৈধ নেশা পাচার হচ্ছে এই রাজ্যে। কতিপয় ক্ষেত্রে পুলিশের সাফল্য চোখে পড়লেও প্রায় ৮০ শতাংশ পাচার পুলিশের নাকের নীচে দিয়েই হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর সেজন্যই অনেক ক্ষেত্রেই নেশা বিরোধী অভিযানে পুলিশকে পাছেই রাখতে চায় আধা সামরিক বাহিনী এবং কাস্টমস। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তেলিয়ামুরাতেও একই ঘটনা ঘটে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে তেলিয়ামুরায় ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের একটি অভিযানে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে আসাম রাইফেলস। আসাম থেকে আগরতলা যাবার পথে তেলিয়ামুরার উপর জাতীয় সড়ক থেকে এ.এস -০১- এলসি -৪০৬০ নাম্বারের ১২ চাকার ট্রাককে আটক করা হয়। আটক করার সাথে সাথেই ট্রাকটিকে অসম রাইফেলসের ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানে ট্রাকটি থেকে ৯০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক কালবাজার মূল্য ১৪.৪ কোটি টাকা। ৪ থেকে ৫ ঘন্টার এই তল্লাশি অভিযানে গাড়ির গেয়ার বাক্সের ভেতর একটি চাকার টিউব থেকে নেশার ট্যাবলেটগুলো উদ্ধার করা হয়। ১৯ তারিখ ভোর পর্যন্ত চলে এই তল্লাশি অভিযান। গাড়ি চালক ও সহ চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। আটকৃতদের নাম রাধাচরণ দাস (৪৯), পিতা যদু রঞ্জন দাস এবং বিমল চন্দ্র দাস ( ৩৫), পিতা সুনীল দাস। উভয়ের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা নিয়ে কোর্টে তোলা হয়। আদালত তাদের জুডিসিয়াল কাস্টডিতে পাঠায়। তবে এই ঘটনায় স্থানীয় থানার ওসি অসম রাইফেলসের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। অন্যের কাজে হাত বসিয়ে নাম কুড়োতে গিয়ে বিফল হয় স্থানীয় থানা। তবে আগরতলার ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের এই ধরনের অভিযান জারি রয়েছে। আগামী দিনেও নেশার বিরুদ্ধে আপোষহীন ভাবেই কাজ চলবে বলে জানানো হয়।