সাব্রুম:
(সুকান্ত দাস)
রাজ্যে বেশ কয়েকদিনের দীর্ঘ টানা প্রবল ভয়াবহ বন্যায় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা জুড়ে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়ে পরেন। এমনিতেই দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলাতে বেশিরভাগ অংশের জনগণ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে সাব্রুম মহকুমায় মাধবনগর, সমরেন্দ্রগঞ্জ, কৃষ্ণনগর, রাজনগর , শ্রীনগর, আমলীঘাট, করিমা টিলা, পোয়াংবাড়ী, মনুঘাট, ইন্দিরানগর, বটতলা, ছোটখিল, দৌলবাড়ী, পূর্ব-জলেফা, পশ্চিম-জলেফা, পূর্ব-হরিনা, পশ্চিম-হরিনা, থাইবুং, চালতাছড়ি, রাজীব নগর, মনু বাজার, সোনাই, বনকুল, কলাছড়া, ফুলছড়ি, বুড়াতলী সহ আরো বেশ কয়েকটি অঞ্চলের কৃষকদের ধান, পানের বর, বেগুন, কাঁচালঙ্কা, কাকরল , পটল, লাউ, মিষ্টিকোমর, কচু সহ আরো বিভিন্ন রকমের ফসল নষ্ট হয়েছে।
বিশেষ করে রাজ্যের সোনালী ফসল উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্রস্থল সাতচাঁদ আর.ডি.ব্লকের অন্তর্গত ইন্দ্রানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দ মাঠ। আর ঐ গোবিন্দ মাঠে শত-শত হেক্টর জমির সোনালী ফসল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি করা হয়। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বর্তমান রাজ্য সরকার রাজ্যের মধ্যে সবচাইতে বেশি ধান ক্রয় করেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমা থেকে।
আমাদের মহকুমা প্রতিনিধি সুকান্ত দাস বেশ কয়েকদিনের দীর্ঘ ভয়াবহ বন্যাতে মহকুমার কৃষকরা কি অবস্থায় আছে, সেই সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গোবিন্দ মাঠে চাষীদের কথা বলেন। কৃষকরা জানান, গোবিন্দ মাঠে ১৭০০ থেকে ১৮০০ জন কৃষক এই মাঠে চাষবাস করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। এই টানা প্রবল বর্ষণের ফলে ভয়াবহ বন্যায় কৃষকদের সোনালী ফসল জলের তলায় নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমান রাজ্য সরকার যদি তাদের পাশে না থাকেন তাহলে ওদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
এ নিয়ে দক্ষিণ জেলার কৃষি আধিকারিকের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সমস্ত সেক্টর অফিসারদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকল চাষীদের সাথে যোগাযোগ করে সরেজমিনে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নেওয়ার জন্য।