ঢাকাঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফের পুলিশ ও কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়িসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বুধবার কফিন মিছিল থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দেখা যায়, পুলিশ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে টিয়ারশেল ও সাইন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে এবং শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এই আন্দোলন আমরা বৃথা যেতে দেব না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন থেকে সরে যাবো না। এ ছাড়াও ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এত কমপক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবারই বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বঘোষিত গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৪টা ৫মিনিটে ভিসি চত্বরে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কফিন ধরে শপথ করে বলেন, এই আন্দোলন আমরা বৃথা যেতে দেব না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন থেকে সরে যাব না।
এদিকে,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর আগে সকাল ১০টা থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রান্তিক গেট, শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে প্রায় ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার সময় যেসব হত্যাকান্ড ঘটেছে, তাতে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।