আমতলীঃ
(সমরজিত চৌধুরীর প্রতিবেদন)
আজ এই সমাজে ভালবাসা যেন অভিশাপের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে বহু যুবক যুবতীর জীবনে। দুদিনের ভালবাসায় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবার সিদ্ধান্ত যন্ত্রনার কারন হয়ে উঠে সমস্ত জীবনের জন্য। এরকমই সিদ্ধান্তের দশ বছর পর নিজ সন্তানের জন্য আমাদের প্রতিনিধির দ্বারস্থ এক যুবক। মোহনপুরের মনিপুরী চৌমুহনীর বুলন দাসের মেয়ে শিল্পী দাসকে ভালবেসে বিয়ে করে আমতলী থানাধীন মধুবন এলাকার অসীম মালাকার। বিয়ের পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম। তারপর শিল্পীর পর পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক। তারপর কণ্যা সন্তানকে নিয়ে শিল্পীর প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়া। এইসব ঘটে তাদের জীবনে। এখানেই শেষ নয় বর্তমানে কণ্যা সন্তানটিকে নিজ মায়ের কাছে ছেড়ে শিল্পী তার নতুন সংসার নিয়ে চলে যায় ব্যাঙ্গালোর। এতটুকুও ঠিক আছে। মেনে নিয়েছে অসীম। কিন্ত বর্তমানে তার কণ্যা সন্তানটির উপর নির্মম অত্যাচার করছে শিল্পীর মা। সাত বছরের শিশু কণ্যাটিকে দিয়ে বাড়ি ও দোকানের সব কাজ করান সেই মহিলা। আর অন্যদিকে বহিরাজ্যে নতুন বরের সাথে আনন্দেই দিন কাটাচ্ছে পাষান মা। এইসব অভিযোগ শিল্পীর প্রথম স্বামী অসীম মালাকারের। এখন সমাজ, সরকার ও আইনী ব্যবস্থার কাছে অসীমের একটাই প্রার্থনা তার কণ্যা সন্তানটিকে যাতে তার কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ছোট্ট শিশু সন্তানটির উপর এই অমানবিক অত্যাচার যেন বন্ধ করা হয়।