কদমতলাঃ
আগর গাছ বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে দুন্ধুমার কান্ড।থানায় মামলা পাল্টা মামলা।তদন্তে পুলিশ।এমন ঘটনায় উত্তপ্ত উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন বড়গোল গ্রামের জুলাই বাসা এলাকা। জানা গেছে,কয়েক বছর পূর্বে বড়গোল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের জুলাই বাসা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক(পিতা মৃত আব্দুল রজ্জাক) প্রতিবেশী আলতাব হোসেন (
পিতা মৃত ছয়াব আলী) এর নিকট মুল্য ধার্য করে দশটি আগর গাছ বিক্রি করেন।পরবর্তীতে বিক্রি করা আগর গাছ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্যতা দেখা দেয়।ক্রেতা আলতাব হোসেনের দাবি করে বসে সে নাকি তিরানব্বইটি আগর গাছ ক্রয় করেছে।এনিয়ে মামলা পাল্টা মামলা রুজু হয় কদমতলা থানায়।একাধিকবার গ্রাম্য সালিশি সভার মাধ্যমে ঘটনাটি মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি।পরবর্তীতে কদমতলা থানার পুলিশের সহযোগিতায় থানাতেই জুলাই বাসা এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিয়ে উভয় পক্ষের মিমাংসা বৈঠক হয়।বৈঠকে ক্রেতা আলতাবকে বারোটি আগর গাছ দিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে ক্রেতা রাজি হলেও পরে সে রাজি হয়নি।অবশেষে রবিবার (১২ মে) সকাল আনুমানিক সোয়া নয়টা নাগাদ দলবল নিয়ে ক্রেতা আলতাব গৃহস্থ আব্দুল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ির লোকজনদের ঘরে আটকে রেখে অবাধে আগর বাগান থেকে আগর গাছ কাটতে শুরু করে বলে অভিযোগ।এদিকে গৃহস্থের স্ত্রী ফাতিমা বেগম জানান,বন্ধ ঘর থেকে স্বামী স্ত্রী কোনমতে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে কদমতলা থানার স্মরনাপন্ন হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ততক্ষণে কেটে নেওয়া আগর গাছের একটা অংশ তারা নিয়ে যায়।পরে পুলিশ কেটে রাখা আগর গাছের বাকি অংশ থানায় নিয়ে যায়।অভিযোগ,তাদের বাড়ি থেকে মোট পঞ্চান্নটি আগর গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।যার মূল্য কুড়ি লক্ষ টাকা বলে ফাতিমা বেগমের দাবি।এমর্মে গৃহস্থ আব্দুল হক কদমতলা থানা,ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আলতাব হোসেন,আব্দুল মুমিন,রফিক উদ্দিন ও সেলিম উদ্দিন নামের চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।সাথে লিখিত আকারে কদমতলা বন দপ্তরকেও বিষয়টি ঘটনাটি অবগত করেছেন।অপরদিকে,স্হানীয় এলাকাবাসীরা জানান,পুলিশ তদন্ত করে গোটা ঘটনার নিষ্পত্তি করুক।যদি কেটে নেওয়া আগর গাছ গুলি ক্রেতা আলতাব হোসেনের ন্যায্য পাওনা হয় তাহলে তাকে দেওয়া হোউক,অন্যথায় গাছের মালিককে হস্তান্তর করুক পুলিশ।পাশাপাশি কদমতলা থানার সাব ইন্সপেক্টর তথা এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সঞ্জিব সরকার জানান,লিখিত অভিযোগ মূলে স্হানীয় থানায় ৩১ নম্বরের ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৪৮/৩২৫/৩৫৪/৪২৭/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।পুলিশ গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।এবিষয়ে অভিযুক্ত তথা ক্রেতা আলতাব হোসেনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তার পক্ষে স্হানীয় এলাকার লিয়াকত আলী ও আমির উদ্দিনরা জানান, তাদের উপস্থিতিে কয়েক ধাপে আগর গাছ বিক্রি করেছেন অভিযোগকারী আব্দুল হকের পরিবার।ন্যায্য মূল্যে গাছ বিক্রি করে এখন তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।এমন ঘটনা আরো অন্যান্যদের সাথেও করেছেন তারা।তাই তারাও চাইছেন পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করুক। জানা গেছে,বুধবার দুপুরে উভয় পক্ষকে কদমতলা থানায় ডাকা হয়েছে।এখন দেখার বিষয় পুলিশি তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।