ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইনসুলিনের সিরিঞ্জের আকাল রাজ্যের বাজারগুলোতে। দুবিধায় সুগারের রোগীরা। ঔষধের দোকানে গিয়ে সিরিঞ্জ বা সুচ চাইলেই অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সুগার রোগী ও তাদের পরিবারকে। আর তার কারণ এই সিরিঞ্জের অন্যত্র ব্যবহার। এই সিরিঞ্জের মাধ্যমে হেরোইন , ব্রাউন সুগারের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে রাজ্যের কিশোর ও যুবকেরা। দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ঔষধের দোকানের মালিকেরা আবার নেশাখোরদের কাছে নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে সিরিঞ্জ বিক্রি করে দিচ্ছে। শুধু নেশাখোরদের কাছেই নয়, ড্রাগ পেডলার তথা কৌটা ব্যবসায়ীদের কাছেও পাইকারি দরে সিরিঞ্জ বিক্রি হচ্ছে । বিভিন্ন পদ্ধতিতেই এই কৌটার নেশা করা হয়, তবে ইনসুলিনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করে তার ভেতর ব্রাউন সুগার গুলে আবার শরীরের ভেতর পুশ করার নেশার ঝোক বেশি।একজন সুগার রোগীর সপ্তাহে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টা সিরিঞ্জের প্রয়োজন হয়। কারণ যারা নিয়মিত ইনসুলিন নেন তাদের দুই থেকে তিন দিন অন্তর অন্তর সিরিজ চেঞ্জ করতে হয়। আর এই সময়ে চাহিদা মতো সিরিঞ্জ না মেলায় বিপদে পরতে হচ্ছে সুগারের রোগীদের। রাজধানী সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই ইন্সুলিম পুশ করার সিরিঞ্জের ঘাটতিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। আর অন্যদিকে একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করে কৌটার নেশায় বিভোর হতে দেখা যাচ্ছে যুব সমাজকে। আর এর ফলে যুবকদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে এইডস, হেপাটাইটিস বি, ক্যান্সারের মত মারনব্যাধী রোগ।