বিশালগড়ঃ
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে গেল সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তাও আবার কুখ্যাত NLFT জঙ্গি। মঙ্গলবার সকাল হতেই সিপাহীজলা জেলা সহ বিশালগড়ের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। একের পর এক গাড়ি ছুটে যায় বিশালগড় গোকুলনগর স্থিত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। খবর আসে সোমবার রাতে জেল থেকে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামী পালিয়েছে। সকালে গননা করতে গিয়ে সেই তথ্য ধরা পড়ে গেইট কিপার জীবন জমাতিয়ার কাছে। পরে খবর চওড় হতেই সাব জেলার পর্যন্ত খবর পৌঁছায়। পরে সাব জেলারের অফিস থেকে খবর পেয়ে ছুটে যান আইজি প্রিজন সহ সিপাহীজলা জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিশালগড় মহকুমা শাসক সহ আন্যান্য আধিকারিকরা। স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা, পিতা – বিরেন্দ্র ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মনু থানায় একটি মামলা, যার নাম্বার ৩৪/২০১৪ । সেই মামলায় অভিযুক্ত স্বর্ন কুমার ত্রিপুরার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তি হয়। সেই আসামীকে মঙ্গলবার সকাল থেকে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। NLFT জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ ছিল তার। এই প্রথম নয় এর আগে ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার এবং ২০২২ সালে কাঞ্চনপুর জেল থেকেও সে পালিয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্ত এবং সিসিটিভি ফুটেজের বিনিময়ে দুইজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় মামলা করেছে বিশালগড় মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী। সোমবার রাতে ১২টা থেকে ডিউটি থাকা সত্বেও সন্ধ্যা ৮ টার সময়ই জেলে এসে পরে ওয়ার্ডার তপন রূপিণী এবং গার্ড কমান্ডার মোঃ মফিজ মিঞা। সোমবার গভীর রাত আনুমানিক ১২টা ৪৫ মিনিটে আসামী স্বর্ন কুমার তার ব্লক থেকে বের হয়। এর পূর্বে রাত ৮টায় উক্ত আসামির ব্লকের দরজা খলে দিতে দেখা যায় তপন রূপিণীকে। নিজ কক্ষ থেকে বের হবার সময় স্বর্ন কুমারের হাতে একটি ব্যাগ ছিল। অনুমান করা হচ্ছে সেই ব্যাগে ভারী যন্ত্রপাতি ছিল। প্রাথমিক তদন্তক্রমে দুই কর্মচারীর দিকেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠছে। যদিও সম্পূর্ন তদন্তে সাবলীল সহযোগিতা করেছেন সাব জেলার দেবাশিষ শীল।