Home BREAKING NEWS এখনো ছনের ছাউনির টং ঘর । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র গিরিবাসিরা ।

এখনো ছনের ছাউনির টং ঘর । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র গিরিবাসিরা ।

by News On Time Tripura
0 comment

তেলিয়ামুড়াঃ

(হিরন্ময় রায়ের প্রতিবেদন)

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গীয়াকামি ব্লকের অধীন কাকড়া ছড়া এডিসি ভিলেজ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক দরিদ্র যুবক ঘর পাননি বলে অভিযোগ৷ পেশায় জঙ্গলের লাকড়ি বিক্রি কিংবা জুম চাষী যুবকের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেতে বহুবার ভিলেজের চেয়ারম্যান ও ভিলেজের সদস্যদের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন। তাতে কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করে জানান যুবকটি।সরকারি যোজনায় ঘর না পেয়ে ভাঙা ছন বাঁশের ঘরেই স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কোনওক্রমে বসবাস করছেন। তবে ছন বাশের ঘরে বসবাসকারীরা বসবাস করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে জানান, ছন বাঁশের ঘরে বসবাস করতে খুবই আরাম দায়ক কিন্তু কষ্ট হয় বর্ষাকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করতে। ভারী এবং তুফান বর্ষাতে ঘর ভাঙ্গার ঘটনা রয়েছে অনেক। কোন সময় তুফানে বাঁশ বেত ছন দিয়ে তৈরি ঘর ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ছন বাঁশের ঘরে যেমন আরামদায় তেমনই বিপদ রয়েছে বর্ষাকালে। তবে বলা প্রয়োজন ভূমিকম্প এবং গ্রীষ্মকালীন সময়ে বিপদ কিছু তা হলেও কম থাকে বলে জানা গেছে। বহু প্রাচীনকাল থেকে ছন বাঁশের ঘরে বসবাস করে আসছে তেলিয়ামুড়া মহকুমার অধীন কাকরাছড়া এডিসি ভিলেজের হাজরা পাড়ার বাসিন্দারা। ওই এলাকার বেশিরভাগ বসবাসকারী জনজাতি গিরিবাসীরা জঙ্গল থেকে ছন বাঁশ সংগ্রহ করে এই ঘর নির্মাণ করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে জঙ্গলে ছন আগের মত পাওয়া দুঃসাধ্য। জঙ্গলের এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে ছন সংগ্রহ করতে হচ্ছে বর্তমানে। একটা সময় দেখা যেত শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলি ছন বাশে ঘরের উপর নির্ভর করে থাকতো। কিন্তু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যার কাছে ঘর নির্মাণ সামগ্রীর কারণে হারিয়ে যাচ্ছে থনের ঘর। তবে হাজরা বাড়ি এলাকায় অত্যাধুনিক যুগে ছনের ঘর লক্ষ করা যায়। কারোর ভাগ্যে জুটলো কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনায় সরকারি ঘর আবার কারোর ভাগ্যে রয়েছে ছন বাঁশের ঘরেই। ওই এলাকার বঞ্চিত অধিকাংশ পরিবার গুলির অভিমত তারাও চাই পাকা ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করতে। কিন্তু তাদের এই দুঃখ দুর্দশা ও মৌলিক চাহিদার কথা বারবার ব্লক প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েতে জানিয়েছেন। অভিযোগ তাদের দুঃখ দুর্দশায় এগিয়ে আসেনি কেউই।
তবে এখন দেখার বিষয় উপজাতি কল্যাণ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসন তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়া কামি আরডি ব্লকের কাঁকড়াছড়া হাজরা বাড়ি এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনা থেকে বঞ্চিত পরিবার গুলিকে সরকারি ঘর প্রদানে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। নাকি তাদের আবেদন নিবেদন পূরণ করতে ব্যর্থ থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ?

You may also like

Subscribe

Subscribe my Newsletter for new blog posts, tips & new photos. Let's stay updated!

© 2025 News On Time Tripura – All Rights Reserved. Developed by Cibato