চড়িলামঃ
বিধানসভা ভোটের পর এখন লোকসভার ভোট চলছে। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের গলায় শুধু উন্নয়নের ডঙ্কা। কিন্তু গ্রাম পাহাড়ে আদৌ কি সরকারি সহযোগিতা সঠিক পথে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে, কারণ স্বামী সন্তানহারা এই বৃদ্ধা সরকারি সহযোগিতায় নয় প্রতিবেশীদের সাহায্যে জীবিকা যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। চড়িলাম ব্লকের ধারিয়াথল জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামের 65 বছরের বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানী দেববর্মা। স্বামী বসন্ত দেববর্মা ও একমাত্র ছেলে ও একমাত্র মেয়ে মাকে ছেড়ে পরলোকে চলে গেছে বহু আগে। স্বামী সন্তানহারা এই অসহায় বৃদ্ধা সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু কেন..? এর কারণ অথবা এর উত্তর কে দেবে..? বিপিএল কার্ড থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্মী রানীর কপালে জোটেনি বার্ধক্য ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা। রাজ্যে সামাজিক ভাতা নিয়ে শাসক ও বিরোধী উভয় দলের মধ্যে চলে রাজনৈতিক তর্জমা। ৭০০ টাকা থেকে বর্তমান সরকার সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকা করেছে। আর এই ডঙ্কা বাজিয়ে বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচনে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা ভোট চাইছেন। কিন্তু আদৌ কি সরকারের এই জনহিতৈষী প্রকল্পের সঠিক উপযোগিতা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে প্রকৃত যোগ্যদের কাছে। চড়িলামের লক্ষ্মী রানী দেববর্মার এই ঘটনাটি জোরালো কন্ঠে বলছে, আদৌ তা হচ্ছে না। আর তাই সরকারের কাছে কোন অভিযোগ নেই লক্ষী রানীর। পাড়া-প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় শেষ সময়টুকু এভাবেই কাটিয়ে দিতে চাইছেন তিনি। কিন্তু অসহায় এই বৃদ্ধার জন্য সরকারের সহযোগিতা চাইলেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।