ডেস্ক রিপোর্টারঃ
রাজনৈতিক প্রখরতা, সুবক্তা হওয়ার পাশাপাশি একজন নেতার ব্যক্তিত্বে সাবলীল ভাব এবং তাঁর সাধারন জীবনযাত্রা সাধারন মানুষের মধ্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বে সেই ঝলক বর্তমান। পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার। সাধারন ডাক্তার নয় রাজ্যের অন্যতম সফল এবং জনপ্রিয় ডাক্তারদের মধ্যে নাম আসে ডাঃ মানিক সাহার। রাজ্য রাজনীতিতে অনেক আগে থেকেই যুক্ত থাকলেও সংসদীয় রাজনীতিতে খুব একটা অভিজ্ঞ ছিলেন না মানিক সাহা।
বিপ্লব কুমার দেবকে হঠাৎ করেই মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে সরানোর পর একপ্রকার অবাক করার মত সিদ্ধান্তেই ডাঃ মানিক সাহা রাজ্যের দ্বিতীয় বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হন। এর পূর্বে শুধুমাত্র মাস খানেকের রাজ্যসভা সাংসদের সংসদীয় অভিজ্ঞতা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হবার পর রাজ্যজুড়ে আইন শৃঙ্খলার সঠিক ব্যবস্থা তৈরী করে রাজ্যবাসীর কাছে প্রথম বার্তা পাঠান মানিক সাহা। বহু দূর্নীতিবাজ স্বদলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি আসে মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠে। এবং সবশেষে ২০১৮ এর পরে ত্রিপুরায় সম্পূর্ন সন্ত্রাসবিহীন নির্বাচন সম্পন্ন হয় তাঁর নেতৃত্বে। ২০২৩ এর নির্বাচন নিয়ে কোন অভিযোগ তুলতে পারেনি বিরোধীরাও। দমন হয় তথাকথিত বাইক ও হেলমেট বাহিনীর। সবকিছুর উর্দ্ধে তাঁর সহজ সরল জীবনশৈলী আকর্ষিত করে সাধারন জনগনকে। আন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের মত হেলিকপ্টারে করে চড়তে পছন্দ করেন না মানিক সাহা। রেলের সাধারন কামরায় সাধারন মানুষের সাথেই যাত্রা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। একবার দুবার নয় এই দৃশ্য এখন খুব সাধারন ত্রিপুরাবাসীদের কাছে।