ডেস্ক রিপোর্টারঃ
বয়স সত্তোর। তারপরেও চোখেমুখে তার ছাপ যেন দেখাই যায়না। ভোর চারটায় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাত আটটা পর্যন্ত ভোট প্রচারের পরেও চোখেমুখে একই রকম দ্যুতি ও প্রখরতা বর্তমান। কিভাবে ম্যানেজ করেন, নিউজ অন টাইমের এডিটিরের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর, I feel I am not Retired, I am not Tired…! কথাটা বলার সময় তাঁর চোখেমুখে ছিল এক আত্মবিশ্বাসী তরুণের ঔজ্জ্বল্য। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে বিজেপির ডাক “আবকি বার, ৪০০ পার”। আর এই চারশ’র হিসাবে দুই আসনের সংযুক্তিতে ত্রিপুরা চষে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের নির্বাচনের পরে পূর্ব ত্রিপুরার কোনায় কোনায় প্রচারের নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরের ছামনু, কমলপুর, সুরমা, কাঞ্চনপুর, আমবাসা, ফটিকরায়, যুবরাজনগর, পানিসাগর – কোন এলাকাই ছাড়ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। দলের অন্যান্য নেতৃত্বদের থেকে অধিক সংখ্যায় জনসভা এবং রোড-শো সম্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে বিপুল সংখ্যায় রাজ্যবাসীর উপস্থিতি ত্রিপুরার দুটি আসনে বিজেপির জয়ের সাথে সাথে মানিক সাহার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাক্ষী বহন করছে। বিপ্লব দেবের চার বছরের কার্যকালের পর হঠাৎ করেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব আসে মানিক সাহার কাঁধে।
তখন তিনি দলের প্রদেশ সভাপতি সাথে রাজ্যসভার সাংসদ। মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করার নির্দেশে দলের মধ্যে আভ্যন্তরীন মতপার্থক্য থাকার পরেও ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে মানিক সাহার নেতৃত্বে বিজেপির জয়ের পর তাঁর গ্রহনযোগ্যতা দলের কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের মধ্যেও তৈরী হয়। বিশেষ করে ২৩ এর নির্বাচনের পর রাজ্যের চিরাচরিত নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসকে আনেকাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন মানিক সাহা। আর সেই কারনেই রাজ্যের সাধারন মানুষ বিশেষ করে বিরোধীদের মধ্যেও তাঁকে নিয়ে গ্রহণযোগ্যতা তৈরী হওয়া শুরু করে।
তবে এই বয়সেও মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক ভাষা বলে এখন আরও অনেক পথ চলা বাকি । রাজ্য রাজনীতিতে মানিক সাহা এখনো অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।