পানিসাগরঃ
কিশোর রঞ্জন হোড়, নিউজ অন টাইমঃ
বঞ্চিত প্রতারিত জনজাতিরা এবার ভোট বয়কটের ডাক দিল। পরিশ্রুত পানীয় জল ও পাকা রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিলো উত্তরের শেরে চন্দ্রপাড়ার রিয়াং জনজাতিরা। সামনেই রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোট। জনজাতি সংরক্ষিত পূর্ব ত্রিপুরার ভোট। আর এই ভোট বয়কট ঘোষণা করে শাসক দলের নেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিলো থুংচড়াই এডিসি ভিলেজের জনজাতিরা। “তুই কুরুই ,লমা কুরুই ” অর্থাৎ জল নেই, রাস্তা নেই, এই দাবিতে উত্তাল পাহাড়। অপরদিকে কুম্ভ নিদ্রায় শাসক ও বিরোধী নেতারা। এই উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের জয়শ্রী থেকে প্রায় বারো কিলোমিটার দূরবর্তী পাহাড়ি এলাকা থুংচড়াই এডিসি ভিলেজের শেরে চন্দ্র পাড়ায় । স্হানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য স্বাধীনতার পর থেকেই রিয়াং জনগোষ্ঠীরা এই এলাকায় বসতি স্থাপন করে আছে । ইতিমধ্যে “আজাদী কা অমৃত মহোৎসব” ঘটা করে পালিত হয়ে গেলেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি সেই আনন্দের স্বাদ । বাম থেকে রাম, ত্রিপুরায় অনেক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও রিয়াং জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি ! এই এলাকার জনজাতিদের পরিশ্রুত পানীয় জলের একমাত্র ভরসা সেই পাহাড়ী ছড়া। চলতি বর্ষা মরসুমে দুই কিলোমিটার দূরবর্তী পাহাড়ী ছড়ার জলেই তৃষ্ণা মেটানো থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধবনিতসাদের স্নান ও কাপাড় কাঁচা ও বাসন মাজা, সবকিছু নির্ভর করতে হচ্ছে। যারফলে প্রতিবছরই জল বাহিত রোগ ও ম্যালেরিয়ার প্রাদূর্ভাব দেখা দেয় এই এলাকায়। তাই সাংবাদিকদের দেখেই মহিলারা জলের কলসি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।তাছাড়া গ্রামের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। শাসক দলের সুশাসন এবং তথাকথিত রাজার ছায়াও পড়েনি এই জনজাতি এলাকায়। গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের মধ্যে সিংহভাগই দারিদ্র সীমার নিচে । তাদের আয়ের প্রধান উৎস জুমচাষ । আর এই জুমিয়া পরিবারগুলো এবার লোকসভা ভোট বয়কটের ডাক দিলো।এই আসনের প্রার্থী মহারাণী বলে কথা, কিন্তু মহারাণীর হয়ে প্রচারেও কাউকে যেতে দেখা গেলো না এই এলাকায় । অবশ্য জুমিয়ারা জানায়,বিধানসভা নির্বাচনের সময় পানিসাগরের বিধায়ক বিনয় ভুষন দাস ভোট ভিক্ষার জন্য এলাকায় গেলেও এরপর আর দেখা নেই বিধায়ক সাহেবের।