
বিশালগড়ঃ
বিশালগড় ঘনিয়ামারা থেকে ১২৫ কেজি জিয়ল মাছ চুরি করে উদয়পুরে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ৪ কুখ্যাত ছিনতাইবাজ। পরে বেধরক উত্তম মধ্যম। বিশালগড়ের স্থানীয় কতিপয় মাতব্বর এবং একাংশ পুলিশের জোড়ালো চেষ্টার পরেও ছিনতাইবাজদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। জানা যায় বিশালগড় থানার এক পুলিশ অফিসারের সাথে মুল অভিযুক্র জুয়েলের খুব সখ্যতা। তবে তুমুল তালবাহানা করার শেষে গ্রেপ্তারের ১২ ঘন্টা পর মামলা নিতে বাধ্য হল বিশালগড় থানা। 120B, 386, 382B, 401,506 ipc ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
উল্লেখ্য সোমবার ভোর রাতে বিশালগড় হয়ে বক্সনগর যাবার পথে বিশালগড় থানাধীন ঘনিয়ামারা এলাকায় একটি মাছ বোঝাই গাড়িকে ছিনতাই করে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী। স্থানীয় জনপ্রিয় ক্লাবের নাম দিয়ে ভয় দেখিয়ে মাছের গাড়ি ছিনতাই করে প্রায় 125 কেজি জিয়ল মাছ উদয়পুর গিয়ে বিক্রি করে চার ছিনতাইবাজ। পরে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস ব্যবসায়ী কর্তৃক খবর পেয়ে উদয়পুরেই আটক করা হয় চার ছিনতাইবাজকে। এবং পরবর্তী সময় বক্সনগরের উক্ত মৎস ব্যবসায়ী এবং বিশালগড়ের জনপ্রিয় ক্লাবের কার্যকর্তারা চার অভিযুক্তকে বিশালগড় থানার হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তরা হল ঘনিয়ামারার কুখ্যাত ছিনতাইবাজ জুয়েল আহমেদ, মুরাবাড়ির দেলোয়ার হোসেন, কড়ইমুরার রাকিব হোসেন এবং নোয়াপাড়ার বাদল আহমেদ। তবে অভিযোগ উক্ত চার উপযুক্তকে গ্রেফতারের পর তাদের ছাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অভিযোগকারীর উপর চাপ শুরু হয় পুলিশের তরফ থেকে। প্রথমে এফআইআর নিয়ে তালবাহানা শুরু হয় পুলিশের তরফ থেকে। FIR সঠিক হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। দু-তিনবার এফআইআর জমা দেওয়ার পরেও গ্রহণ করেনি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত এফআইআর কপিতে জেলা পুলিশ সুপার, রাজ্য পুলিশ মহা নির্দেশক ও পুলিশ একাউন্টিবিলিটি কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তড়িঘড়ি মামলা গ্রহণ করে বিশালগড় থানা। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত এই মামলাকে ধামাচাপা দিয়ে ছিনতাইবাজদের বাঁচানোর জন্য তোড়জোড় চেষ্টা চলে। কিন্তু সাংবাদিকদের তৎপরতার কারণে সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়। শেষ পর্যন্ত মামলা গ্রহণ করে মঙ্গলবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলে বিশালগড় থানা।