কদমতলাঃ
সম্প্রতি উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় চড়ক পূজা উপলক্ষে জুয়ারীরা তাদের জন্ডি মুন্ডা খেলার বোর্ড ও ডাইস নিয়ে প্রায় প্রতিটি চড়ক মেলায় জোয়ার আসর বসাচ্ছে।তাতে অবশ্য অনেক পুলিশ বাবুদের গোপন সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ।অনুরুপ সোমবার বিকেলে কদমতলা থানাধীন হুরুয়া এলাকায় চড়ক পূজায় জান্ডি মুন্ডা জুয়ার আসর বসায় জোয়ারিরা।সেই খবরটি আসে স্হানীয় থানার ওসি জয়ন্ত দেবনাথের কাছে।সেই খবরের উপর ভিত্তি করে ওসি দলবল নিয়ে হুরুয়া এলাকার চড়ক পূজার পাশের একটি স্হান থেকে হাতেনাতে জান্ডি মু্ন্ডা খেলার সরঞ্জাম সহ আট জুয়ারিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।তিনি জানান, সামনেই লোকসভা নির্বাচন,আর সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।তার সাথে জোয়া বিরোধী অভিযানও জারি রয়েছে।শনিবারও জোয়া সামগ্রী সমেত কয়েকজন জুয়ারীকে আটক করা হয়েছিল।আর সোমবার সন্ধ্যার পরও জুয়া খেলা চলাকালীন সময় পুলিশ অভিযান চালালে এই সাফল্য আসে। তিনি জানান, জান্ডি মুন্ডার বোর্ড ডাই সহ নগদ প্রায় সাড়ে ছয়ত্রিশ শো টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।সাথে আটক করা হয় মঞ্জুরুল হক,বিধান ঋষি, প্রসেনজিৎ সিনহা,সিমেন উদ্দিন, বাদশা মিয়া,দুলাল রায় ওরফে ঝুনু, জিতেন্দ্র শুক্লবৈদ্য ও সুজিত কুমার শুক্লবৈদ্যকে।সকলের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয়েছে।এদিকে পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, কদমতলা থানা এলাকায় জোয়া খেলার মদত দিয়ে যাচ্ছেন থানার সেকেন্ড ওসি।আর ওসিকে বদনাম করে বাড়তি কামাই বানিজ্য ব্যস্ত সেকেন্ড ওসি। অপরদিকে ধৃত আট জুয়ারী মাঝে ধর্মনগর রাজবাড়ীর বাসিন্দা সিমেন উদ্দিন(৩০) এবং উত্তর হুরুয়ার মঞ্জুরুল হককে(২৮) বাইক চুর সন্দেহে আটক করে ধর্মনগর থানার হাতে সমঝে দেওয়া হয়।এদিন রাতেই ধর্মনগর থানার পুলিশ সন্দেহভাজন দুই বাইক চোরকে ধর্মনগর থানায় নিয়ে যায়। ধর্মনগর থানার পুলিশ থেকে জানা গেছে,ধৃত দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বাইক চুরির সাথে জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।