চুরাইবাড়িঃ
নির্বাচনের ঠিক প্রাক মুহুর্তে নববর্ষের প্রথম দিনেই যাম্প্রদায়িক সুড়সুড়িতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে চুরাইবাড়ির কালাচাঁদ পাড়া। হিন্দু বাড়িতে গো-মস্তক রাখাকে কেন্দ্র করে নববর্ষের দিনেই চরম উত্তেজনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার চুরাইবাড়িতে। এই ঘটনায় রাতভর চাপা উত্তেজনা বিরাজ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে।জানা গেছে,পহেলা বৈশাখ তথা রবিবার রাত আনুমানিক আটটার দিকে চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ডের কালাচাঁদ পাড়ার বাসিন্দা দেবু দেবের বাড়িতে এই গো-মস্তকটি দেখতে পায় তার মেয়ে পঞ্চমী দেব।তখন সে ঘরের বারান্দায় একা বসে মোবাইলে কথা বলছিল,এমন সময় অন্ধকারে এক ব্যাক্তি দৌঁড়ে এসে কোনো একটি জিনিষ রেখে চলে যায় বলে জানায়। পরে বাড়ির অন্যান্যদের জানালে সবাই টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পায় সেটি একটি গো মস্তক। সঙ্গে সঙ্গে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের লোকজনরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয় এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।খবর দেওয়া হয় চুরাইবাড়ি থানায়।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে থানার ওসি সমরেশ দাস পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ততক্ষণে অবশ্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। কয়েক শতাধিক জনতা জয় শ্রীরাম বলে ধ্বনি দিতে থাকে এবং এই ঘটনাকারীকে চিহ্নিত করে কঠোর আইনী শাস্তির দাবি জানান। কিন্তু পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে না পারায় ছুটে আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা ও বিশাল বিএসএফ বাহিনী। কিন্তু উত্তেজিত জনতার সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এই কালাচাঁদ পাড়ায় মোট ষাট পরিবারের বসবাস এর মধ্যে হাতে গোনা পাঁচ ছয় পরিবার রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের। লোকসভা নির্বাচন একেবারে দোরগোড়ায় , এর মধ্যে ধর্মীয় সুরসুরি দিতে রাজনৈতিক দলের ইন্ধনও থাকতে পারে বলে অনুমান এলাকাবাসীর। রাতেই বাড়ি মালিক দেবু দেব সার্বিক বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান চুরাইবাড়ি থানায়। রাতে ঘটনাস্থলে বিশাল টিএসআর ও বিএসএফ বাহিনীর মোতায়ন করা হয়েছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য। সাথে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করেন সোমবার এই ঘটনায় যুক্তদের সনাক্ত করা হবে এবং আইনী ব্যবস্থাও গ্রহন করা হবে।