কদমতলাঃ
পাচার বাণিজ্যে বাঁধা দেওয়ায় এক যুবককে গুলি করে মারার হুমকি দিলো অবৈধ পাচারকারীরা।পরে আতঙ্কিত ওই যুবক কদমতলা থানায় তিন ব্যক্তির নামে লিখিত এজাহার দায়ের করে।ঘটনায় উত্তপ্ত উত্তর ত্রিপুরা জেলার ত্রিপুরা-অসম সীমান্তের কুর্তি এলাকায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায়,কদমতলা থানাধীন কুর্তি মধ্য-রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক (পিতা আব্দুল নূর ) চলতি মাসের গত ২৩ মার্চ রাত এগারোটা নাগাদ অসমের কাঁঠালতলী এলাকা থেকে একটি গাড়িতে করে অবৈধ চেরাই সেগুন কাঠ নিয়ে নাজিম উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন ত্রিপুরা সীমান্তে প্রবেশ করার পথে তাদের মধ্য রাজনগর বরইথল এলাকায় আটক করে গ্ৰামীন রাস্তাটি ভেঙ্গে যাবে বলে। অর্থাৎ চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই গাড়ি চলাচল করলে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে তাই স্বল্প পরিমাণ সামগ্ৰী নিয়ে চলাচল করতে বলায় সঙ্গে সঙ্গেই নাজিম উদ্দিন আব্দুল খালেককে গুলি করে মারার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ খালেকের। তখন আশপাশের লোকজনরা ছুঁটে আসতেই খালেক পালিয়ে আত্মরক্ষা করে বলে জানায়। এর একদিন পরেই পরপর দুদিন তাদের চেরাই সেগুন কাঠ সহ গাড়ি চুরাইবাড়ি ফরেস্ট বিট ও চুরাইবাড়ি থানার সহযোগে কদমতলা পুলিশ আটক করে এবং থানায় নিয়ে যায়। এতে সন্দেহের মাত্রা আরো ঘনীভূত হয় পাচারকারীদের। যে আব্দুল খালেক নামের যুবক নাকি তাদের অবৈধ বাণিজ্যের কথা পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছে বলে। এরপর তাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় গত ২৬ মার্চ আব্দুল খালেক কদমতলা থানায় নাজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ও দিলওয়ার হোসেন নামে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করে। যদিও বর্তমানে পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে সম্পূর্ণ বিষয়টি। এদিকে ত্রিপুরা-অসমের চোরাকারবারিদের সংযোগকারী বরইথল গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার বাণিজ্য অব্যাহত থাকলেও পুলিশ ও বন দপ্তর নীরবতা পালন করে আসছে। বিশেষ করে অসম থেকে বিভিন্ন সাইজের চেরাই কাঠ দিন ও রাত্রিবেলা ত্রিপুরায় পাচার করছে চোরাকারবারিরা। এতে জেলার বন দপ্তর সবকিছু জেনেও চোঁখে কালো চশমা পড়ে বসে আছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ওই এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায়,চোরাকারবারিদের দৌড়াতে একেবারে অতিষ্ঠ কুর্তি গ্রামের মানুষ।এখন দেখার প্রশাসন সেই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে?