চড়িলামঃ
দৈনিক হাজিরা কাজে গিয়ে এক গৃহস্থের বাড়ির আম গাছ থেকে পড়ে আট দিন ধরে জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দুটি অবুঝ শিশু সন্তানের পিতা ৩৫ বছরের শ্রমিক বিশ্বজিৎ নমঃ। পিতার নাম মৃত মনোরঞ্জন নমঃ। বাড়ি চড়িলাম ব্লকের দক্ষিণ চড়িলাম গ্রামের কড় ইমুড়া এলাকায়। গত বুধবার দিন অর্থাৎ ২০ মার্চ অন্যান্য দিনের মতোই বিশ্বজিৎ সকালবেলা বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে একই গ্রামের নিবারণ নমঃ র বাড়িতে যায় হাজিরা কাজ করার জন্য। নিবারণ নমঃ র বাড়িতে গিয়ে বিশ্বজিৎ আম গাছের ডালা কাটার জন্য গাছে উঠে। হঠাৎ করে গাছের ডাল কাটতে কাটতে পা পিছলে গিয়ে আম গাছ থেকে বসতঘরের টিনের চালে পড়ে যায় বিশ্বজিৎ। ঘরের চাল থেকে পড়ে বাড়ির উঠোনে। শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। সঙ্গে সঙ্গে নিবারণ নম এবং গ্রামের মানুষ তাকে বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে। আট দিন ধরে জিবিপি হাসপাতালে মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বিশ্বজিৎ। অত্যন্ত গরিব এবং অভাবী পরিবার। তার রয়েছে দুটো শিশু সন্তান। বড় মেয়ের নাম রিয়া নম আট বছর এবং ছোট ছেলের নাম তনু নম ঃ সাত বছর। দুটি অবুঝ শিশুসন্তানকে বাড়িতে ফেলে বিশ্বজিতের স্ত্রী আট দিন ধরে পড়ে রয়েছে জিবিপি হাসপাতালে স্বামীর জন্য। দুটি অবুঝ শিশুসন্তানকে দেখাশোনা করছে বিশ্বজিতের বড় ভাইয়ের স্ত্রী এবং বড় ভাই। বুধবার দিন সকাল বেলা বিশ্বজিতের বৌদি বলেন কি যে হবে পরিবারটির ভেবে পাচ্ছিনা। অত্যন্ত গরিব। বিশ্বজিতের অবস্থা মোটেই ভালো নয়। ছয় দিন ধরে জ্ঞান ফেরেনি। দুটি অবুঝ শিশু সন্তানের যে কি হবে? কিছুই বুঝতে পারছিনা। চিকিৎসক নাকি বলেছে বিশ্বজিতের অবস্থা মোটেই ভালো নয়। এ হেনা অবস্থায় দুটি অবুঝ শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত বিশ্বজিতের বড় ভাই বৌদি আত্মীয়-স্বজনসহ গোটা গ্রামের মানুষ। পরিবারটির জন্য সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে গ্রামের মানুষ।