গন্ডাছড়াঃ
গন্ডাছড়াপ্রতিনিধি:-
হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়। আগাম সচেতনতা নেই আবহাওয়া দপ্তরের। ডুম্বুর জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা না হলো না চার মৎসজীবির। শনিবার সন্ধ্যায় মনোরঞ্জন দাসপাড়ার বাসিন্দা হরি দাস(৪৫), প্রদীপ দাস(৪৬), জ্যোতিষ মল্লিক(৫০) ও সঞ্জিৎ নন্দি(৫০) প্রত্যেকদিনের মত ডুম্ভুর জলাশয়ে মাছ ধরতে যান। রাতে আকস্মিক প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এই প্রবল ঝড় বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ডুম্ভুর জলাশয়ে ভাসমান কেস কালচার ঘরে আশ্রয় নেয় তারা। কিন্তু তাদের আশ্রয় নেওয়ার পরই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে সেই ঘরটি উড়িয়ে নিয়ে যায়। দরজা বন্ধ অবস্থাতেই ঘরটি উল্টে গিয়ে জলে ডুবে যায়। এই অবস্থায় বদ্ধ ঘরটি থেকে বেরোতে পারেনি তারা। সকালে খবর পেয়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা শাসক এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ভলেন্টিয়াররা। দীর্ঘক্ষণ জলে তল্লাশির পর প্রথম অবস্থায় একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপর শুরু হয় আবারও জোর তল্লাশি। মহকুমা শাসক এবং এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে তল্লাশি চালানোর পর আবারো পরপর দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে। অন্যদিকে খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফ জওয়ানদের। পরবর্তী সময়ে ঘটনা স্থলে পৌছয় এনডিআরএফ জোয়ানেরা, সন্ধ্যা অব্দি চলে জোর তল্লাশি। ঘটনা স্হলে যান বিধায়ক নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং, ধলাই জেলার ডিএম, এসপি, এসডিপিও এবং বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী । এই মর্মান্তিক ঘটনায় তিনজনের দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাকি তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া গেলেও সঞ্জিত নন্দির দেহ উদ্ধার হয়নি।