আগরতলাঃ
যে পরিবারবাদ নিয়ে জাতীয় কংগ্রেসকে রাজনৈতিক আক্রমন করা হয়, রাজ্যে কি তাহলে সেই পরিবারবাদকেই সমর্থন করল বিজেপি ? দলে যোগ্য নেতা থাকা সত্বেও মথার চাপে প্রদ্যোতের বোনকেই প্রার্থী করা হল। এ কি পরিবারবাদ নয়..? তিপ্রামথা দলেরও অসংখ্য যোগ্য নেতৃত্ব ছিল যাদের প্রার্থী করা যেত। তাহলে কেন এমন এক ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হল যিনি কয়েক দশক ধরে জনজাতিদের থেকে বিচ্ছিন্ন। পাহাড়ের সমস্যা সম্পর্কে তিনি কতটুকুই জানেন।তাহলে কি শুধুমাত্রই পরিবারের কল্যানে টিকিট পেলেন কৃতি রানী দেব্বর্মা ? এই প্রশ্ন গুলো কিন্তু ওঠা শুরু হয়েছে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষের মধ্যে।
এবার জানা যাক কে এই কৃতি রানী দেব্বর্মা । মহারাজা কিরিট বিক্রম কিশোরের কনিষ্ঠা কন্যা এবং প্রদ্যোত কিশোরের বোন, ছত্তিসগড়ের কাবার্ধা রাজ পরিবারের যোগেশ্বর রাজ সিংহের সাথে উনার বিয়ে হয়। শিলং এ স্কুল শিক্ষা এবং গুজরাট থেকে রুরাল ডেভেলাপমেন্টের উপর ডিপ্লোমা করেন তিনি। কাবার্ধা রাজ পরবারের সাথে জাতীয় কংগ্রেসের সম্পর্ক ছিল। কৃতি রানির স্বামী ছত্তিসগড়ে দুইবার কংগ্রেসের বিধায়কও ছিলেন। নির্দল থেকে একবার কৃতি রানীও ছাত্তিশগড়ের কোন এক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু সেখানে উনার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এখন সেই কৃতি রানীকে পূর্ব ত্রিপুরা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। আর এটা সবটাই যে মথার সাথে চুক্তির নিরিখে হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারন রাজ্য বিধানসভায় দুই মন্ত্রীর শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে প্রদ্যোত বাবু নিজেই বলেছিলেন দিল্লিতেও তিনি তার প্রতিনিধিকে পাঠাবেন, যিনি সংসদ ভবনেও রাজ্যের তিপ্রাসাদের কথা তুলবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই রাজ্যের তিপ্রাসাদের সাথে কতটুকু সম্পৃক্ত কৃতি রানী। যে ভাষা নিয়ে তিপ্রাসাদের আবেগ, নিজের ভাইয়ের মত তিনিও কি সেই ভাষা বোঝেন বা বলতে পারেন..? আর যদি রাজ্যের তিপ্রাসাদের এই সামান্য আবেগের সাথে কোন যোগসূত্র না থাকে তাহলে কিভাবে তিপ্রাসাদের দৈনন্দিন সমস্যাগুলি তিনি সংসদ ভবনে তুলে ধরবেন ?
প্রশ্ন উঠা শুরু হয়েছে ? জবাব কে দেবে ? বিজেপি না তিপ্রামথা..?