তেলিয়ামুড়াঃ
দিকে দিকে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার অঙ্গ হিসেবে সরকারি টাকায় সুশাসনের দ্বিতীয় পর্ব সম্পন্ন হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন প্রকারের সরকারি সুযোগ-সুবিধা গুলো পৌঁছে দেওয়ার বা সার্বিক প্রশাসনিক ক্ষেত্র নিয়ে সচেতনতা তৈরি করার প্রয়াস গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার খাস তালুক মুঙ্গিয়াকামী'তে ব্লক প্রশাসনের ব্যাবস্থাপনায় ব্লক চত্বরে সুশাসনের দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন উপলক্ষে অর্কেস্ট্রা আয়োজন সহ যেভাবে একপ্রকার বেলেল্যাপ্পানার নগ্ন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে তা সভ্য সমাজে কোন ভাবেই মানানসই না।
বিশেষ করে যেখানে বর্তমান সময়ে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দেওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মুঙ্গিয়াকামিতে কার দৌলতে বা কার নির্দেশে সুশাসনের দ্বিতীয় পর্ব শীর্ষক সরকারি অনুষ্ঠান একপ্রকার অরুচিকর এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরোধী মানসিকতার জন্ম দিয়েছে তা কিন্তু বড় প্রশ্ন।
এলাকা সূত্রে অভিযোগ,, প্রশাসনের আহ্বান মতো মুঙ্গিয়াকামী ব্লক চত্বরে সুশাসনের এই দ্বিতীয় পর্বে উপস্থিত হয়ে প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য যখন এলাকার একটা অংশের মানুষ মুঙ্গিয়াকামী ব্লক চত্বরে গিয়ে হাজির হন, তখন নাকি সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও সুশীল কুমার রিয়াং রীতিমতো হুলিয়া জারি করে জানিয়ে দেন যতক্ষণ পর্যন্ত না অর্কেস্ট্রার আয়োজন সম্পন্ন হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে কোন প্রকারের প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।
এরপর একটা অংশের মানুষ দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে প্রায় দুপুর দুটা তিনটা পর্যন্ত এই উদ্দাম অশ্লীল নাচ সহ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে উদ্যামতার সাক্ষী থেকে একটা সময় প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ না করেই বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন।
গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে এ কেমন সুশাসন প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক টাকা খরচ করে কেন এভাবে উদ্দামতা’য় মেতে উঠল সুশীল কুমার রিয়াং-এর নেতৃত্বাধীন মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লক।। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্লক এলাকাটা রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নির্বাচনী এলাকা, মন্ত্রী বাহাদুরের সদিচ্ছা বা মন্ত্রী বাহাদুরের ভূমিকা ও কিন্তু এখানে অনেকটাই নেতিবাচক বলে ধারণা একাংশের।
আর যাই হোক মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের এই সুশাসন পরব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা সরকারের বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বর্তমান সময়ের শাসকদলের ভাবমূর্তি যে অনেকটাই ক্ষুন্ন হলো তা কিন্তু আর বলার অপেক্ষা রাখে না।