বিলোনিয়াঃ
পিতার অপমানের প্রতিশোধ নিতে দুই যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করল ছেলে। দুর্ঘটনা শিকার নাকি, হত্যার চক্রান্ত শিকার । এই নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল পুলিশ ও জনমনে । কিন্তু পুলিশ অবশেষে শনিবার সেই ধোঁয়াশার চাদর উন্মোচন করে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে। বালি ব্যবসায়ী দুই বন্ধু হত্যা মামলায় পুলিশ বিলোনিয়া তবলা চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা ঝুটন চৌধুরীকে আটক করে বিলোনিয়া থানাতে নিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য । দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ঝুটন চৌধুরী শিকার করে হত্যার কথা। সুপরিকল্পিতভাবে এই জোড়া খুন করেছে ঝুটন। পূর্বের শত্রুতার জেরে প্রথমে বোলেরু গাড়ি দিয়ে বাইকের পেছনে ধাক্কা, তারপর লোহার রড দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় দুই বন্ধুকে। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে মুখ খুলতে চাইছে না। এই ঝুটন এসবিসি নগর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের শাসক বিজেপি দলের প্রধান লক্ষী চৌধুরীর ছেলে। স্বদলীয় লোকের হাতে তিন দফায় আক্রান্ত হয় ঝুটনের পিতা সঞ্জিত চৌধুরী । এ বিষয়ে থানাতে মামলা হয় এলাকারই কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। এলাকারই স্বদলীয় কিছু যুবকের হাতে বার বার আক্রান্ত হতে হচ্ছে ঝুটনের পিতা সঞ্জিত চৌধুরীকে। আর ইহা সহ্য করতে পারছিল না ঝুটন। এতেই প্রতিশোধের ক্ষোভ বাড়তে থাকে ঝুটনের মনে। সেই ক্ষোভে, প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে ঝুটন অভিজিৎ দে ও আশিষ মজুমদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। শুক্রবার রাতে বহিঃপ্রকাশ ঘটালো ঝুটনের সেই জমানো ক্ষোভের। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে বিলোনিয়া থানাতে মামলা হওয়ার পর পুলিশ ৮৪/২০২৩ এই নম্বরে মামলা রেজিস্ট্রি করে । পুলিশের তদন্ত ও ঝুটনের স্বীকারোক্তি মুলে রবিবার দুপুরে ভারতীয় দন্ড বিধি ৩০২,২০১, ১২০বি ধারায় হত্যার মামলা নিয়ে ঝুটনকে আদালতে তোলে পুলিশ পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করে। উল্লেখ্য বিলোনিয়া গেরেজ টিলা এলাকা থেকে গত শুক্রবার রাত এগারোটা নাগাদ অভিজিৎ দে ও আশীষ মজুমদার নামে দুই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় । রক্তাক্ত অবস্থায় এই দুই যুবককে দমকল বাহিনী চিকিৎসার জন্য উদ্ধার করে নিয়ে আসে বিলোনিয়া হাসপাতালে । আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুই যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় দুই যুবকের ।