দিল্লিঃ
ক্রমান্বয়েই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের সিলেবাসে পরিবর্তন আনতে চাইছে বিজেপি সরকার। এবার সমাজ বিজ্ঞানে পড়ানো হবে রামায়ন-মহাভারত। একদিকে তথ্যভিত্তিক ইতিহাস অন্যদিকে বিশ্বাস ও আস্থা নির্ভর মাইথোলজি।
ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। নতুন সংসদ ভবনে রামায়ণ-মহাভারতকে ‘ইতিহাস’ হিসেবে তুলে ধরেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ বার সেই রামায়ণ-মহাভারতকে সমাজবিজ্ঞানের বইয়েই অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করল এনসিইআরটি।একদিকে যেমন বিজেপি নেতারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইতিহাস আর পুরাণকে গুলিয়ে দিতে চাইছে। শিক্ষার গৈরিকীকরণ করতে চাইছে। স্কুলের সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম সংশোধনের লক্ষ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছিল এনসিইআরটি। সেই কমিটির প্রধান তথা ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক সি আই আইজাক বলেন, ‘‘সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে রামায়ণ-মহাভারত পড়ানোর সুপারিশ করেছে কমিটি। এতে অল্প বয়স থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে দেশপ্রেম, আত্মসম্মান ও নিজেদের জাতির জন্য গর্ববোধ তৈরি হবে।’’ আইজাকের দাবি, এর ফলে ভবিষ্যতে ব্রেন ড্রেন বা বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে।
সমাজবিজ্ঞান হিসেবে রামায়ণ-মহাভারত পড়ানোর ভাবনার বিরুদ্ধে মুখ খুলে অন্যদিকে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক তনিকা সরকারের বক্তব্য, সমাজবিজ্ঞান তথ্যনির্ভর বিষয়। মহাকাব্যে বর্ণিত ঘটনা তথ্য দ্বারা যাচাই করা সম্ভব নয়। এ সব গ্রন্থ যদি পড়াতেই হয়, তা হলে সমাজ বিদ্যায় না রেখে অন্য কোন বিষয়ে সংযুক্ত করলেই চলে। যেখানে রামায়ণ-মহাভারতের মতোই অন্য ধর্মের গ্রন্থও পড়ানো যেতে পারে ।’’