ধর্মনগরঃ
পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর নেতাজী মূর্তির পাদদেশে ৫৬ নং বিধানসভা কেন্দ্রের জনগণকে নিয়ে বিজেপির শক্তি প্রদর্শন করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।এদিন ঐতিহাসিক জনসভা ও যোগদান সভায় ৬৮ পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ সিপিএম এবং কংগ্রেস দল ছেড়ে বিশ্ববন্ধু সেনের হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করে গেরুয়া শিবিরের ছত্রছায়ায় নিজেদেরকে অর্পণ করেন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, ধর্মনগর পৌর পরিষদের চেয়ারপার্সন প্রদ্যুৎ দে সরকার,ধর্মনগর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি শ্যামল কান্তি নাথ,বিজেপি দলের জেলা প্রভারি বিকাশ শর্মা প্রমুখ। এদিনের জনসভা ও যোগদান সভার প্রধান বক্তা বিশ্ববন্ধু সেন প্রথমেই ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে যারা কংগ্রেস সিপিএম জোটকে উপেক্ষা করে তাকে জিতিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।মানুষ ২০২৩ এর নির্বাচনের আগে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যারা উপকারীর উপকার ভুলেননি তাদের ভোটে পুনরায় বিশ্ব বন্ধু সেন বিজয়ী হয়েছে।এই অবস্থায় যখন তাকে কেউ হারাতে পারেনি আর তার জীবনে এই কেন্দ্র থেকে তাকে হারাতে পারে এমন সাধ্য কারোর নেই। বিভিন্ন সময় দলমত নির্বিশেষে তিনি যেভাবে মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা এক এক করে তুলে ধরেন এদিনের বক্তব্যে। তিনি এদিন ফুটবলের সাথে তুলনা দিয়ে বলেন,পূর্বে বিজেপি দল খেলতো ব্রাজিলের স্টাইলে আর কংগ্রেস সিপিএমের জোট খেলে জার্মানের স্টাইলে। এবার বিজেপি দল তাদের স্টাইল পরিবর্তন করে ইটালির স্টাইলে খেলায় জোট সুবিধা করে উঠতে পারেনি। তবে সব কিছুর পেছনে তাঁর মূল লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মনগরের উন্নয়ন এবং ধর্মনগরের স্বার্থ। তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন,যে কোন দল করুন কিন্তু উন্নয়নে বাধা দেবেন না। মিছিল করে কখনো কোন দেশে দারিদ্র দূরীকরণ হয়নি। যদি মিছিল করে দারিদ্র দূরীকরণ করা যেত তাহলে আফ্রিকার দেশগুলি মিছিল আর আন্দোলন করে তাদের দেশের দারিদ্র দূরীকরণ করে ফেলত। ধর্মনগরের পৌর পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডে সার্বিক সুবিধা দেওয়ার পরও গত বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল একেবারেই ন্যূনতম ভোট পেয়েছে। বিজেপি হিন্দুদের দল বলে একটা প্রচার চালিয়ে দেওয়া হয়েছে যার ফলে সংখ্যালঘুরা সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও বিজেপি দলকে ভোট দিতে পিছ পা হন হয়। কিছু সংখ্যক হিন্দুদের সেকুলারিজম নিয়ে তিনি বিদ্রুপ করেন। ধর্মনগরের পূর্ত দফতরের কথা বলতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাটের উন্নতি হচ্ছে পূর্ত দপ্তরের সৌজন্যে।কিন্তু ধর্মনগরে কিছু সংখ্যক আধিকারিকের কারণে রাস্তাঘাটের উন্নতি হচ্ছে না,তাই সেই সব পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের অনুরোধ জানান তারা যেন ধর্মনগরের রাস্তাঘাটের ব্যাপারে কিছুটা যত্নবান হন।পরিশেষে তিনি বলেন বিজেপি শুধু হিন্দুদের দল নয়, এই দল সকলের জন্য এবং সার্বিক বিকাশের জন্য কাজ করে এবং কাজ করে যাবে। অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে ৬৮ পরিবার যারা দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম বা কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় দিন যাপন করে এসেছেন এমন প্রায় দুই শতাধিক ভোটার তাদের পূর্বের দল ছেড়ে দিয়ে অধ্যক্ষের হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করে।