বিশালগড়ঃ
প্রথম দিকে ডেফেন্সিভ মুডে থাকলেও ধীরে ধীরে এগ্রেসিভ হচ্চেন বিশালগড় থানার ওসি তাপস দাস। বিশালগড় থানার ওসি হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর প্রথম একমাস চুপ ছিলেন তাপস দাস। পরে বিশালগড়ের বিভিন্ন সমাজদ্রোহী, ছিনতাইবাজ এবং নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে রীতিমত জেহাদ ঘোষনা করেন ইন্সপেকটর তাপস দাস। একের পর এক সমাজদ্রোহী এবং নেশা কারবারিদের গারদে পুরছেন। বিশালগড় মহকুমার বিভিন্ন স্থানেই সমাজদ্রোহী এবং নেশা কারবারিদের আস্ফালন বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিশালগড় পুলিশ প্রশাসনের আপোষোহীন ভুমিকায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসামাজিক তত্বের বিচরণ। সমাজদ্রোহীদের গারদে পুরেই ক্ষান্ত থাকছেন না তাপস বাবুর পুলিশ বাহীনি। তদন্তক্রমে প্রতিটি ঘটনার সাথে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদেরকেও আটক করতে সার্থকতা অর্জন করছে বিশালগড় থানা। এমনকি রাজ্যের অন্যান্য থানার অভিযুক্তদের বিশালগড় থেকে গ্রেপ্তার করতেও সাফল্য অর্জন করেছে বিশালগড় থানা। পুজার রেশ কাটতেই আবারও ফর্মে বিশালগড় থানার ওসি তাপস দাস। শুক্রবার সন্ধ্যায় আটক করলেন দুই নেশাকারবারি সমাজদ্রোহীদের। ৬ গ্রাম ব্রাউন সুগার, দুটি মোবাইল ফোন, একটি বাইক, একটি প্রাইভেট গাড়ি এবং নগদ ৯৫৬৫ টাকা সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বিশালগড় পুলিশ। বিশালগড়ের রাউৎখলার অভিজিৎ সাহা এবং নেহাল চন্দ্রনগরের বিষ্ণু দাস নামে এই দুই দুস্কতিদের চুরি, ছিনতাই এবং নেশা কারবারির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তঃরাজ্য চুরির গাড়ি বাইক পাচারের সাথে এই দুই অভিযুক্তের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। বিশালগড় থানা এদিন Ndps আইনের 22(b)/25/27(a)/29 ধারায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে, যার মামলা নাম্বার ১০৬/২০২৩। তবে বিশালগড় থানার এই আপোষহীন পদক্ষেপে আপাতত সমাজদ্রোহী এবং নেশা কারবারীদের আস্ফালন থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বিশালগড়বাসী। আগামী দিনগুলিতেও পুলিশের এই ধরনের পদক্ষেপের আসায় সাধারণ জনগণ।