দক্ষিণ ত্রিপুরাঃ
বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। যদিও ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক পূজা মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আর মাত্র একদিন বাকি তার পরেই মহাষষ্ঠী, পূজার অনাবিল আনন্দে ভাসবে দর্শনার্থীরা। বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করেছে ক্লাব এবং সার্বজনীন সংস্থারগুলি। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার দর্শনার্থীদের পূজাতে নিরাপত্তা ,দুর্ঘটনা,ও আইনশৃঙ্খলা প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় দক্ষিন ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সন্মেলনের মধ্যেদিয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক সাজু ওয়াহিদ এ এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার অশোক কুমার সিনহা এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ত্রিপুরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত দাস, মহকুমা শাসক রতন ভৌমিক, তথ্য সংস্কৃতিক পর্যটন দপ্তরের উপাধিকতা রিপন চাকমা । এদিন পুলিশ সুপার জানান এখন পর্যন্ত পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী গোটা জেলাতে পূজা হচ্ছে দুশর উপরে। জেলার মধ্যে সবচাইতে বেশি পুজো বিলোনিয়া মহকুমায়। তিনি জানান শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যাপক পরিমাণে আরক্ষা বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। সিভিল পুলিশও থাকবে ,থাকবে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ফিক্সড-পিকেট ছাড়াও হয়েছে নাকা এবং ড্রপগেট। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকেও যানবাহনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পুলিশের মোবাইল পেট্রোলিং ছাড়াও থাকবে ফুট পেট্রোলিং। নাশকতা এড়াতে পুজোর প্রাক মুহূর্তে বড় বড় প্যান্ডেল গুলিতে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বোম স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড দিয়ে চেকিং করা হবে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। আনন্দ যাতে নিরানন্দ না হয় তার জন্য সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন। দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক সাজু ওয়াহিদ এ জেলায় পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে একমাস আগে থেকে বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, পূজায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা থেকে সবকিছু ঠিকঠাক রাখতে দফায় দফায় পূজা উদ্যোক্তা ক্লাব সংগঠনগুলির সাথে আলোচনা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। সেই সাথে তিনি সরকার এবং প্রশাসনের সমস্ত নিয়ম নীতিগুলি মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আবেদন ও রাখেন।