বিশালগড়ঃ
১৬ বছর চাকরি করেও প্রাপ্তি শূন্য। হঠাত করেই আবার মহাশূন্যে সহদেব শিলের পরিবার। বিশালগড়ের নারায়ন সরদারপাড়া নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে ১৬ বছর যাবৎ শিক্ষকতার চাকরী করতেন বিশালগড় উত্তর ব্রজপুরের সহদেব শীল। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় সহদেব শিলের। কিন্তু তার এই মৃত্যুর পর আজ তার পরিবার অথৈ শূন্যে। স্ত্রী সহ এক ছেলেকে অনিশ্চয়তার মহাসাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন সহদেব। আপনারা হয়তো ভাবছেন, সরকারী চাকরী করতেন, তাহলে পরিবার কেন অনিশ্চয়তায় থাকবে ? কিন্তু তার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়, কারন তিনি সর্বশিক্ষার শিক্ষক ছিলেন। জীবনের ১৬টি বছর একটি দপ্তরকে সমর্পন করার পরও , তার মৃত্যুর পর তার প্রাপ্তি শূণ্য। রাজ্য সরকারের শিক্কগা দপ্তরের নিয়মে কিছুই পাবেননা সহদেব শিলের পরিবার। না এককালীন কোন আর্থিক সাহায্য, না পেনশন। এভাবেই চরমভাবে বঞ্চনা এবং সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের শিকার সর্বশিক্ষার শিক্ষকরা। ২০০৪ সাল থেকে এই রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরে অবদান রেখে চলছে সর্বশিক্ষার শিক্ষকরা। বাম আমলের দীর্ঘ বঞ্চনার পর , রাজ্যে পালা বদলের পর বঞ্চনার অবসানের স্বপ্ন দেখেছিল এই রাজ্যের প্রায় ৬ হাজার শিক্ষক কর্মচারী। যা রীতিমত ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। বিজেপি সরকারের ৬ বছরে এক শতাংশ ডিএ পর্যন্ত জুটেনি এই শিক্ষকদের। বঞ্চনা এবং অনিশ্চয়তার অন্ধকার তড়া করে বেরাচ্ছে এই পরিবারগুলিকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি জানেন এই বিষয়গুলি ? তিনি কি পারবেন এই শিক্ষকদের বঞ্চনার অবসান ঘটনাতে ? সহদেব শিলের পরিবার কি পাবে সরকারের সাহায্য ? প্রশ্ন থেকে গেল, উত্তর মিলবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই ।