গন্ডাছড়াঃ
সার্বিক উন্নয়নের কাজ নিয়ে খুনা, কুনি।। রাজ্যের গণ্ডাছড়া মহকুমাতে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে অক্ষম গন্ডাছড়া থানার পুলিশকর্মীরা।। ঘটনার ২৬ ঘণ্টা পরও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।। চৌঠা অক্টোবর সন্ধ্যা রাতে বিজেপির মৈত্রী জুটের শরীরদল IPFT দলের নেতা প্রেম সাদন ত্রিপুরা গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত ৬০ কার্ড এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় কন্টাকটার দীপঙ্কর দেবনাথ কে DWS দপ্তরে কাকে জিজ্ঞেস করে অনলাইনে টেন্ডার জমা করেছ, এই কথা বলে টেলিফোনে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় IPFT দলের স্থানীয় নেতা প্রেম সাধন ত্রিপুরা।। দীপঙ্কর দেবনাথ কে জিজ্ঞেস করে তুমি এখন কোথায় টেলিফোন উত্তর পেয়ে, সঙ্গে সঙ্গে গন্ডছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় সংলগ্ন চৌমনিতে শাসক দল বিজেপির শরিকদলের নেতা প্রেম-সাধন ত্রিপুরা গুন্ডাবাহিনীদের কে পাঠিয়ে দীপঙ্কর দেবনাথের উপর প্রাণ নাশের আক্রমণ করে।। দারালো অস্ত্রের, প্রচন্ড আঘাতে দীপঙ্কর দেবনাথ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন দীপঙ্কর বাবু শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত বেরিয়ে যায়।। দীর্ঘক্ষণ পর এগ্রুকেমিক্যালের এক বাজার ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ দাস নামের স্থানীয় সচেতন ব্যক্তির নজরে পড়ে এই ঘটনাটি।। ঐ ব্যক্তির চিৎকার চেচামিতে পাঁচজনের একদল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।। পরে আহত অবস্থায় কন্টাকটার দীপঙ্কর দেবনাথ কে স্থানীয় গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে দীপঙ্করের বাড়ির লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে দীপঙ্কর ও গৌরাঙ্গ দাসের কাছে থেকে তথ্য নিয়ে গন্ডাছড়া মহকুমা থানায় IPFT দলের নেতা প্রেম সাধন ত্রিপুরা, বিরন জয় ত্রিপুরা, উত্তম মগ, তর্ন জয় ত্রিপুরা সহ ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।। এই ঘটনার খবর পেয়ে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে আহত দীপঙ্কর দেবনাথের শারীরিক খোঁজ খবর নিতে ৪৪ রাইমাভ্যালির বিধায়ীকা নন্দিতা দেববর্মা আসেন।। পাশাপাশি সাংবাদিকের মুখোমুখি এক সাক্ষাৎকারে গন্ডাছড়া মহকুমাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে তিনি রাজ্য পুলিশের দিকে আঙ্গুল তুলে অতিসত্বর দুষ্কুতিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান,বাইট আহত দীপঙ্কর দেবনাথ।