বিশালগড়ঃ
প্রধানমন্ত্রীর জেনেটিক ঔষধ প্রকল্প দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছিল। বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির অতি উচ্চ মূল্যের ঔষধ গুলোই অনেকটাই কম দামে রোগীরা এই জেনেরিক কাউন্টারগুলো থেকে কিনতে পারে। কিন্তু বিশালগড় হাসপাতালে জেনেরিক ঔষধ বিক্রয় কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে অসুস্থ রোগী ও তাদের পরিবারদের। জানা গেছে এই জেনেরিক ঔষধ প্রদান কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট প্রায় একমাসের ছুটি নিয়ে বসে আছে, তাই এই ওষুধ প্রদান কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য এই জেনেরিক ঔষধ কেন্দ্রের মাধ্যমে বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধের তুলনায় অনেকাংশেই কম মূল্যে ঔষধ পাওয়া যায়। এতে উপকৃত হন দরিদ্র অংশের মানুষজন। তবে এই কেন্দ্রটির বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে আসা রোগীদের। একই ভাবে ওষুধ কেন্দ্রের বাইরে লেখা রয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী 19 অক্টোবর পর্যন্ত অনিবার্য কারণবশত এই কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এই বিষয়ে বিশালগড় মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার জ্যোতির্ময় দাস জানান, এই ঔষধ কেন্দ্রটির পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে মার্কফেট নামে এক কোম্পানি এবং গোটা পরিষেবা তারাই প্রদান করে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র তাদের ঔষধ প্রদানের জন্য ঘরের বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। তাই এই ওষুধ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় উক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে জানানো হয় অন্য যেহেতু মূল ফার্মাসিস্ট অসুস্থ, তাই কেন্দ্রটি বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে যেখানে সাধারণ মানুষকে স্বল্প খরচে পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সেখানে একজন ফার্মাসিস্ট না থাকায় কেন একটি মহকুমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে? কেন তার পরিবর্তে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যদি দায়িত্ব দেয়া হতো তাহলে হয়তো ভোগান্তির শিকার হতে হতো না রোগি ও তার পরিবারকে।