তেলিয়ামুড়াঃ
তেলিয়ামুড়া মহকুমার কৃষ্ণপুর চাকমাঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিনিয়ত বন্যহাতির আক্রমণের ঘটনা গুলো ঘটে চলেছে। শনিবার রাতে বন্য দাঁতাল হাতির আক্রমণে সর্বশান্ত হতে হয়েছে পঙ্কজ চক্রবর্তী নামে এক উদ্যমী সাধারণ ব্যাক্তিকে।
শ্রী চক্রবর্তী বহু ধার দেনা করে দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে পারিবারিক চারকানি জায়গার উপরে রাবারের চারা রোপন করেছিলেন, তবে শনিবার রাত আনুমানিক দশটার কিছু পরে বন্যহাতির দল মুহূর্তের মধ্যে গোটা বাগানকে ধুলিস্যাৎ করে দেয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পঙ্কজ বাবুর বক্তব্য হচ্ছে অতীতে একটা সময় বনদপ্তর থেকে হাতির সমস্যা নিরসনে ভূমিকা পালন করা হলেও বর্তমানে কোন ভূমিকা নজরে পড়ে না। বর্তমানের এই হাতির আক্রমণের জেরে তিনি একেবারে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলে ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন।
এদিকে গোটা বিষয় নিয়ে খবর নিয়ে জানা গেছে বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন আধিকারিক হিসেবে সাবিরকান্তি দাস দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে হাতির আক্রমণ থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য এডিএস টিমের যাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের ন্যূনতম মাসোয়ারা প্রদান করা হয় না, চাঞ্চল্যকর আরো অভিযোগ দৈনিক ২১২ টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও ৫-৬ মাস পরপর এককালীন তিন থেকে চার হাজার টাকা মাত্র দেওয়া হয়। এই কারণে বনদপ্তর থেকে নিয়োজিত এডিএস টিমের সদস্যরা এই সময়ে কাজ করছেন না, অন্যদিকে বন দপতরের স্থায়ী কর্মীরা নিজেদের অফিস ছেড়ে হাতি আক্রান্ত এলাকাগুলোর মধ্যে যেতে নারাজ। এর মাঝখানে পড়ে সাধারণ মানুষরা সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সবকিছু জেনে শুনেও প্রশাসন কোন ভূমিকা গ্রহণ করছে না। একদিকে যেমন দাবি উঠছে সমস্যার সমাধানের , ঠিক এর পাশাপাশি সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে সর্ষের মধ্যেই কি তাহলে বড়সড়ো ভুত লুকিয়ে রয়েছে?