আগরতলাঃ
আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও যান্ত্রিকতার এই সমাজ ব্যবস্থায় এখনো অনুসূয়াদের মত অনুপ্রেরণাগুলি আমাদের মধ্যে মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখে। হিংসা, বিদ্বেষ এবং ঈর্ষার এই জগতে ভালবাসা আর সহমর্মিতার পাঠ দিয়ে যায়। পাঁচ বছরের একটি নিষ্পাপ প্রাণ আমাদের বাঁচার উপায় বুঝিয়ে যায়। ক্যান্সার আক্রান্ত এক মহিলাকে নিজের সখের চুল কেটে দিলেন পাঁচ বছরের অনুসূয়া। এইটুকু বয়সেই নিজের মাথা ন্যাড়া করে অপরের মুখে হাসি ফোটানোর কাজ করল অনুসুয়া। মহারাষ্ট্রের নাগপুর ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৫০ বছর বয়সী সংঘমিত্রা শালিগ্রাম নামে এক মহিলা। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় কেমো থেরাপি দেওয়ার কারণে তার মাথার সব চুল উঠে যায়। পরে সামাজিক মাধ্যমে পুনরায় মাথার চুল প্রতিস্থাপন করার জন্য আহ্বান রাখলে, ব্যাঙ্গালোরের এক সামাজিক সংস্থার নজরে আসে বিষয়টি। তখন এই সংস্থা বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে। আর সেই খবর চোখে পড়ে আগরতলা বড়দোয়ালী নিবাসী অনিমেষ ঘোষ ও তার সহধর্মিনী সীমা চাকমার। অনিমেষ ও সীমার পাঁচ বছর বয়সী ছোট্ট কন্যা অনসূয়া ঘোষের মাথার চুল অনেকটাই বড় বয়সের তুলনায়। তাই অনসূয়ার ইচ্ছায় তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ের মাথার এই চুল স্বেচ্ছায় দান করবেন। সেই সিদ্ধান্ত থেকেই শিশু বিহার স্কুলে কেজি টুতে পড়ুয়া ছাত্রী অনসূয়ার পিতা মাতা মহারাষ্ট্রের নিবাসীনি সংঘমিত্রা শালিগ্রামের জন্য তার মেয়ের চুল পাঠায় l ছোট্ট অনসূয়ার মাতা জানান তারা এই কাজটি করতে পেরে খুবই আনন্দিত। ছোট্ট বয়সেই অনসূয়ার এই মানবিক উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি পিতা-মাতা সহ গোটা পরিবার।