ধর্মনগরঃ
উত্তর ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন থানা নেশা বিরোধী অভিযানে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছে। তাতে স্থানীয় থানার পুলিশের সাথে অবশ্যই কৃতিত্ব রয়েছে পুলিশ সুপারের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা নেশার সাম্রাজ্য গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য উত্তর জেলায় পাঠান পুলিশ সুপার ভানুপদ বাবুকে। তারপর থেকেই একের পর এক নেশা বিরোধী অভিযানে বৃহৎ সাফল্য কুড়াচ্ছেন পুলিশ সুপার। একই রকম ভাবে পুলিশ সুপারের কাছে গোপন খবর ছিল একটি লরি করে শুকনো গাঁজা বহিঃ রাজ্যে পাচার হবে। সেই খবরের উপর ভিত্তি করে পুলিশে সুপারের নির্দেশে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ শনিবার দুপুর থেকে স্হানীয় থানার সামনের আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর নাকা পয়েন্টে তল্লাশিতে বসে। বেলা আনুমানিক সাড়ে তিনটে নাগাদ WB23E/9879 নম্বরের একটি বারো চাকার লরি নাকা পয়েন্টে আসলে পুলিশ যথারীতি লরিটিকে আটক করে। তারপর তল্লাশি চালিয়ে লরির কেভিনের ভেতরে ও উপরে গোপন কক্ষ থেকে ৪০ প্যাকেটে ২০৭ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে। সাথে আটক করা হয় লরি চালক কিষাণ আলি (৫৬ ) পিতা মৃত হোসেন আলীকে।ধৃতের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নিউ কোচবিহার জেলার বক্সিরহাট থানা এলাকায় বলে জানা গেছে।এই মর্মে ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালালে উঠে আসে এই সাফল্য।উদ্ধারকৃত গাঁজার কালোবাজারি মূল আনুমানিক একত্রিশ লক্ষ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন।এই গাঁজা গুলি আগরতলা থেকে গৌহাটির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ একটি এনডিপিএস ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।রবি বার ধৃতকে ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক।