ধর্মনগরঃ
এবার এক নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন উত্তর জেলার বিশেষ আদালতের বিচারপতি অংশুমান দেববর্মা। ঘটনার বিবরণে বিশেষ আদালতের সরকারি আইনজীবী সুদর্শন শর্মা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট পাশের বাড়ির কোয়ায় জল আনতে যায় এক নাবালিকা। তখন ওই নাবালিকাকে সেখান থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় গন উরাং, পিন্টু উরাং ও বাসিয়া উরাং নামে তিন যুবক। তাকে পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তিন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছিলো দামছড়া থানার অন্তর্গত সুন্ধিবাসা এলাকায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে নাবালিকা কন্যা দামছড়া থানায় একটি গনধর্ষণের মামলা দায়ের করে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৭৬ ডি এবং পক্সো আইনের ছয় ধারায় মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে দামছড়া থানায় পুলিশ। পরবর্তীতে এই মামলায় তাদের আটক করা হয়। উত্তর জেলার বিশেষ আদালতে এই মামলা দীর্ঘ বছর চলার পর মোট ২১ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে অবশেষে গন উরাং ও পিন্টু উরাং কে দোষী সাব্যস্ত করে শনিবার এই মামলার রায় দান করেন বিচারপতি। সাক্ষীর অভাবে এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস পায় বাসিয়া উরাং। শনিবার বিশেষ আদালতের বিচারপতি অংশুমান দেববর্মা দোষীদের ৩৭৬ ধারায় কুড়ি বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেন। অর্থ অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অনুরূপ ভাবে পক্সো আইনের ছয় ধারায় একই সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে এই ধরণের সাজা ঘোষণায় সমাজে একটি কঠোর বার্তা যাবে যে,অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না।