
বিশ্রামগঞ্জঃ
পুলিশের উপর মানুষের বিশ্বাস দিন দিন কমছে। আর তার জন্য কারন পুলিশ নিজেই। সমাজদ্রোহীদের প্রতি পুলিশের নরম মনোভাব, নেশা এবং পাচার বানিজ্যের সাথে যুক্ত অসামাজিক তত্বের সাথে পুলিশের দহরম মহরম আর গোপন নেই এই রাজ্যে। তার মধ্যে আবার নিরীহ মানুষের উপর খাকি উর্দি আর ক্ষমতার অপব্যবহার। সব মিলিয়ে পুলিশ আজ সাধারনের বন্ধু নেই। ক্ষমতার ঔদ্ধত্ব আর সমাজদ্রোহী মাস্তানদের সাথে আপোষ আজ রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপক ত্রিপুরা পুলিশের গৌরব মাটিতে মিশিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও রাজ্যের পাড়ায় পাড়ায় সিন্থেটিক নেশা কৌটার আসর বন্ধ হয়নি। এর কারন আর কি হতে পারে ? পুলিশ চাইলে তা সাত দিনে স্বমুলে উৎখাত করা সম্ভব। তারপরেও তা হচ্ছে না। কেন ? উত্তরটা আপনারাই খুজে নিন। এইসবের মাঝে নিরীহ মানুষের উপর পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার। কোন অন্যায় না করার পরেও তিন গাড়ি চালককে ৫ হাজার টাকার জন্য মেরে রক্তাক্ত করল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইল তিন গাড়ি চালক। ঘটনা সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জ থানায়। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ বিশ্রামগঞ্জ থানার সামনেই নাকা পয়েন্টে একটি গাড়িকে আটক করে বিশ্রামগঞ্জ পুলিশ। উদয়পুর পালটানা এলাকার রাকেশ দাস, উদয়পুর খিলপাড়া এলাকার কৃষ্ণ দেবনাথ এবং উদয়পুর দুধপুকুর এলাকার নবীর হোসেন, তাদের TR03H 1528 নম্বরের মহিন্দ্রা বোলেরো গাড়িতে DWS দপ্তরের বোরিং এর পাথর কনা বোঝাই করে আগরতলা থেকে উদয়পুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তাদের প্রথমে থানার সামনে আটক করলে বৈধ সব কাগজপত্র থাকায় তাদের ছেড়ে দেয় বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ। তারপর আবার গাড়ি নিয়ে তাদের পেছনে ধাওয়া করে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এবং তাদের কাছে ৫০০০ টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ করে গাড়ি চালকরা। শুধু তাই নয় তাদের উপর শারীরিক আক্রমণ করে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ। ৫০০০ টাকা না দেওয়ায় উল্টো তাদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি করে পুলিশ। বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে আক্রান্ত তিন গাড়ি চালক। তারা জানায় তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও কেন তারা পুলিশকে ঘুষ দেবে ? তাহলে কি এই রাজ্যে এখন পুলিশকে হাপ্তা দিয়ে রাস্তায় চলতে হবে সাধারণ মানুষদের ?