বক্সনগরঃ
সহসাই কংগ্রেস দল ছাড়তে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লা মিয়া। বি.জে.পির এক ঝাঁক নেতৃত্বের তার বাড়িতে উপস্থিতির বিষয়ে এমনই গুঞ্জন সর্বত্র।
এবার প্ৰাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া কি পা বাড়াচ্ছেন বি.জে.পিতে ? প্রার্থী না হতে পেরে মনক্ষুন্ন বিল্লাল ? যদি তিনি শাসক দলে ভিড়েন তাহলে প্রভাবিত হবে বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ? ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যখন দল ছেড়ে কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতা ভিড়েছিলেন বি.জে.পিতে তখনও সোনামুড়ায় প্রায় এক দলের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া। কিন্তু কি এমন হলো জে তিনি দল কাহারছেন ? বৃহস্পতিবার বিজেপির মনোনয়ন পর্ব শেষে সে দলের এক ঝাঁক নেতা মন্ত্রীর তার বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি এমন প্রশ্নই উস্কে দিচ্ছে রাজ্য রাজনীতির আবর্তে। উপস্থিত থাকলেও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী প্রথম অবস্থায় বিষয়টিকে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার হিসেবে আখ্যায়িত করলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি বিরজিৎ সিনহা মন থেকে মেনে নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন। এই নির্বাচনেও যে বিরজিৎ দলীয় সিদ্ধান্তে খুশি নয় তা ঠারে ঠুরেই বুঝিয়েছেন। এই অবস্থায় কিছু দিনের মধ্যে বিল্লাল বিজেপির হতে পারে !সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আড়ালে আবডালে যেন এমনটাই বুঝলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
ঘটনাটিকে সৌজন্য হিসেবেই দেখতে চেয়েছেন খোদ বিল্লাল মিয়া। উপ-নির্বাচনে দল সি.পি.এমকে সমর্থন করলেও বক্সনগর কেন্দ্রে তিনি বা তার অনুগামীরা সি.পি.এম প্রার্থীকে সমর্থন করবেন কি না ? তা স্পষ্ট করেন নি।
সূত্রের খবর ২৩ বিধানসভা নির্বাচনের মতো এই উপ-নির্বাচনেও বিল্লাল মিয়া বক্সনগরের প্রার্থী হউক চেয়েছিলো কংগ্রেস ও স্বয়ং বিরজিৎ সিনহা। কিন্তু না বিধানসভা নির্বাচন ,না উপ-নির্বাচন কংগ্রেসের এই দাবি মানেনি সি.পি.এম। তাই মনক্ষুন্ন বিল্লাল বিরজিৎ পন্থী কংগ্রেস কর্মীরা। এই অবস্থায় বিল্লাল মিয়া দল ছাড়তে পারেন বলেই অনেকের মন্ত্রব্য। তবে আগে তিনি এই বিষয়ে তার অনুগামী দলীয় কর্মদের মনোভাব জানার চেষ্টা করবেন। যদি তাতে কর্মীদের শায় হয়তো বক্সনগরের উপ-ভোটের ময়দানে কংগ্রেস কর্মীদের নাও দেখা যেতে পারে বলে খবর।