ধর্মনগরঃ
এবার এক খুনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিলো জেলা ও দায়রা আদালত। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর হাফলং মুন্ডাটিলা এলাকায় ২০১৯ সালে। ঘটনার বিবরণে পাবলিক প্রসিকিউটর পার্থ পাল জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ১২ মার্চ রাতে হাফলং মুন্ডাটিলা এলাকায় সুনিতা লোহার নামে এক মহিলার দোকানের সামনে হাল্লা চিৎকার শুরু করে সঞ্জয় মুন্ডা ও লক্ষ্মী মুন্ডা। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মদমত্ত অবস্থায় সঞ্জয় মুন্ডা ও লক্ষ্মী মুন্ডা ওই স্থানে আসে তখন তাদের দেখে পুনরায় তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গভীর রাতে তাদের চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা বেরিয়ে আসলে তাদের দা দিয়ে ভয় দেখায় সঞ্জয় মুন্ডা। সঞ্জয় মুন্ডার ভয়ে স্থানীয়রা সেখান থেকে চলে যায়। ভোরে ঘুম থেকে স্থানীয়রা দেখেন সুনিতা লোহারের দোকানের সামনে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে লক্ষ্মী মুন্ডা। এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর থানাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয়রা সঞ্জয় মুন্ডাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় ২৩/১৯ নম্বরে আইপিসি ৩০২ ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করে ধর্মনগর থানা। মোট ২৪ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে অভিযুক্তকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মাননীয় আদালতের বিচারপতি অংশুমান দেববর্মা ১১ ই আগস্ট সঞ্জয় মুন্ডাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।