বিলোনিয়াঃ
বিলোনিয়া শহর এবং শহরতলী জুড়ে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে । আতঙ্কিত জনগণ । হেলদোল নেই দক্ষিণ জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে থানা বাবুদের। একটি চুরির ঘটনার কুলকিনারা করতে পারছে না বিলোনিয়া থানার তড়িৎ কর্মা পুলিশ বাবুরা । থানায় অভিযোগ জানানোর পর চুরির ঘটনাস্থলে গিয়ে , ডাইরিতে চুরির ঘটনার লিপিবদ্ধ করে দায়িত্ব খালাস করে দিচ্ছে পুলিশ বাবুরা । পুলিশের ঢিলেঢালা ভূমিকায় ক্ষোভে ফুসছে সাধারণ জনগণ । দাবি উঠছে রাত্রিকালীন টহল দারি জোরদার সহ নজরদারি ব্যাবস্থা করুক দক্ষিণ জেলার পুলিশ প্রশাসন । গত শনিবার রাতে বিলোনিয়া শহরের দুই দোকানের চুরির ঘটনার কুলকিনারা করতে না করতেই আবারো চোরেরা হানা দিল রাবার গোডাউনে । গোডাউনের তালা ভেঙ্গে নিয়ে যায় নব্বই বান্ডিল রাবার সিট । সাড়ে চার টন রাবারের সিট চুরি হয় বলে জানান এনএইচএমপি মাল্টিপল প্রোডাকশন ইউনিট টু এর মালিক মিঠুন মজুমদার দার।বিলোনিয়া পাইখলা এলাকায় এনএইচএমপি মাল্টিপল প্রোডাকশন ইউনিট টু নামে রাবার প্রসেসিং ও রাবার গোডাউন রয়েছে।
চুরি কান্ডের ঘটনাটি ঘটে গতকাল গভীর রাতে । আজ সকালে ঘটনার টের পায় এনএইচএমপি মাল্টিপল প্রোডাকশন ইউনিট টু এর মালিক মিঠুন মজুমদার। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ চুরির মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এনএইচএমপি মাল্টিপল প্রোডাকশন ইউনিট টু এর মালিক মিঠুন মজুমদার জানান,গত ২ তারিখেও নাকি আগুন লাগে এই রাবার ফ্যাক্টরিতে । কিভাবে আগুন লাগে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ফ্যাক্টরির মালিক । এই আগুন লাগার ফলে 12 থেকে 13 টনের মত রাবারের শিট পুড়ে যায় । এছাড়া ফ্যাক্টরি বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায় । এসব চুরির পেছনে নেশাখোরদের একটা অংশকে দায়ী করছে জনগণ । দক্ষিণ জেলা জুড়ে হেরোইন, ব্রাউন সুগার ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন নেশা বিক্রেতার আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে । প্রায়ই জনগণ পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে নেশা কারবারি থেকে শুরু করে নেশাখোরদের । কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে ধৃত নেশা কারবারীদের পুলিশ আদালতে পর্যন্ত সোপর্দ না করে থানা থেকেই ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ যদি নেশা কারবাড়ি ও নেশাখোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে বিলোনিয়াতে চুরি রোধ করা যাবে না বলে অভিমত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকদের।