খোয়াইঃ
নাবালিকা কন্যাকে ফুসলিয়ে বহিঃরাজ্যে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবার অভিযোগে খোয়াই মহিলা থানায় মামলা হল আসাম রাজ্যের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তান থেকে চার সন্তানের জননী ভালোবাসার কথা বলে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করা, ভারত থেকে পাকিস্তান ছুটে গিয়ে এক মহিলা মঞ্জু ধর্ম পরিবর্তন এবং বিয়ে করার দুটি ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে তোলপাড়। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা দুটি ঘটনারই তদন্ত চালাচ্ছেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহ এর পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর হাত রয়েছে। সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনাগুলোর মধ্যেই আসাম রাজ্যের এক যুবক খোয়াই মহকুমার নাবালিকা কন্যাকে ফুসলিয়ে বহিঃরাজ্যে নিয়ে বিক্রি করার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ত্রিপুরাতেও। আর এই অভিযোগে খোয়াই মহিলা থানায় বুধবার দুপুরে নাবালিকা কন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয় ধৃত যুবক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
সংবাদে জানা যায় খোয়াই মহকুমার এক আদিবাসী নাবালিকা কন্যা গৃহ পরিচারিকার কাজে আগরতলা থাকতেন। আসাম রাজ্যের এক যুবক নাসির উদ্দিন (২৩) ওই নাবালিকা কন্যাটিকে বিয়ে করার কথা বলে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে বটতলা এলাকায়। ঘটনা মঙ্গলবার সকাল দশটায়। পরে ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে চলে যায় আগরতলা রেলস্টেশনে। রেল স্টেশনে স্থানীয় কিছু যুবকের সন্দেহ হয় ছেলেটির চালচলন নিয়ে। তারা ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই আটক করে তুলে দেয় আমতলী থানা পুলিশের হাতে। পরে পুলিশ নাবালিকা কন্যাটির বাড়িতে যোগাযোগ করে এবং ওইদিন রাত প্রায় ১২ টায় আমতলী থানার পুলিশ নাবালিকা কন্যাটিকে নিয়ে আসে খোয়াই মহিলা থানায়। বুধবার মহিলা থানার পুলিশ মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বেশ কিছু তথ্য পায়। বুধবার দুপুরে নাবালিকা কন্যা সন্তানের মা আসাম রাজ্যের যুবক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন,সে নাবালিকা কন্যাটিকে ফুসলিয়ে বহি রাজ্যে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে অল আদিবাসী এসোসিয়েশনের নেতৃত্বরা মহিলা থানায় ছুটে এসে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ওই যুবকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।