
ধনপুরঃ
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের আবেদনে সারা দিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে ধনপুর হাসপাতালের পরিষেবা দিতে শুরু করেছেন নার্সিং পাস – আউট ৬ জন বেকার যুবক যুবতী। তারা প্রত্যেকেই সোনামুড়া মহকুমার। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সামলা দিতে হিমশিম অবস্থা ধনপুর প্রাথমিক স্ব্যস্থ্য কেন্দ্রের। ডেঙ্গু ছাড়িয়ে পাড়ার আগে হাসপাতালটির ইনচার্জ ডক্টর সীমান্তিক দাস ও টাকারজলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সদ্য আসা আরো একজন ম্যাডিকেল অফিসার জয় দেববর্মা সামলাচ্ছিলেন হাসপাতাটি। ডেঙ্গু পরিস্থিতি শুরু হলে কাঠালিয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বক্সনগর থেকে ২ জন চিকিৎসকে পরিষেবা প্রদানের জন্য ধনপুরে আনা হয়। তার বাইরে আগরতলা এ.জি.এম .সি থেকে ২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিদিন এসে হাসপাতালটির বহির্বিভাগে পরিষেবা দিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে ১ দিন আগে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যান হাসপাতালটির ইনচার্জ ডক্টর সীমান্তিকা দাস। হাসপাতালে আসা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তুলনায় পরিষেবা দানকারীদের সংখ্যা কম পরে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক স্থানীয় নার্সিং পাস-আউট যুবক যুবতীদের কাছে আবেদন রাখেন তারা যেন এই হাসপাতালে এসে পরিষেবা প্রদান করেন।মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে সেই ডাকে সারা দিয়ে বিনা পারশ্রমিকে গতকাল থেকে কাজ শুরু করেন স্থানীয় নার্সিং পাস -আউট ৬ জন বেকার যুবক যুবতী। মেডিকেল অফিসার তথা ধনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডক্টর সীমন্তিকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন তার দ্বায়িত্ব সামলাচ্ছেন মেডিকেল অফিসার ডক্টর জয় দেববর্মা। তিনি জানিয়েছেন কাঠালিয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন চিকিৎসকও গতকাল শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই সে হাসপাতালটিরও পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে গতকাল থেকে। বিষয়টি দপ্তরের উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এই অবস্থায় যে চিকিৎসককে কাঠালিয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধনপুর আনা হয়েছিল তাকে ফের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন কি ব্যবস্থা নেয় স্বাস্থ্য দপ্তর ? তাই দেখার।