কৈলাশহরঃ
খুব শীঘ্রই কৈলাসহরের বিমানবন্দর চালু হতে যাচ্ছে এবং ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে পয়লা আগস্ট মংগলবার কৈলাসহরে এসে জানান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এই উপলক্ষে পয়লা আগস্ট মংগলবার কৈলাসহরের সার্কিট হাউসে এক প্রশাসনিক বৈঠক অনুস্টিত হয়। এই প্রশাসনিক বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিরজিত সিনহা, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, অতিরিক্ত জেলাশাসক সজল বিশ্বাস, রাজ্য পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা, রাজ্য পরিবহন দপ্তরের অধিকর্তা, এয়ারপোর্ট অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তা সহ আরও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। কৈলাসহরের সার্কিট হাউসে বৈঠকের পর মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ সবাই কৈলাসহরের পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেন। বিমানবন্দর পরিদর্শনের পর ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্র এবং পরিত্যক্ত সোনামুখী চা বাগান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান যে, কৈলাসহরের বিমানবন্দর চালুর ব্যাপারে দুই পর্যায়ে কাজ শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে বিমানবন্দরটি বর্তমানে যেভাবে রয়েছে তা সংস্কার করে সতেরো কিংবা কুড়ি আসনের বিমান চালু করা হবে। এবং এই বিমানটি কৈলাসহর থেকে কোলকাতা এবং কোলকাতা থেকে কৈলাসহর, অনুরুপভাবে কৈলাসহর থেকে আগরতলা, এবং আগরতলা থেকে কৈলাসহর এই রুটেই চালু হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেটা চলতি বছরের শেষ দিকেই শুরু হবে। তাছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নতুন করে আরও জায়গা অধিগ্রহণ করে বিমানবন্দরের রানওয়ে বৃদ্ধি করে বড় বড় বিমান চলাচল শুরু করানো হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সময় সাপেক্ষ এবং সেটা ধীরে ধীরে করা হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তাছাড়াও মন্ত্রী জানান যে, খুব শীঘ্রই একশো চল্লিশ কোটি টাকা ব্যয় করে ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্র এবং পরিত্যক্ত সোনামুখী চা বাগানে কাজ শুরু হবে। ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানান উন্নয়ন মূলক কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। তাছাড়া পরিত্যক্ত সোনামুখি চা বাগানে ত্রি স্টার মাপের বড় হোটেল, একটি বড় রিসোর্ট, ব্যায়ামাগার, পার্ক সহ পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আরও নানান উন্নয়ন মূলক কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর এই আশার বানী ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় গোটা কৈলাসহরবাসীর মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।