
ধর্মনগরঃ
স্বদেশে ফিরে যাবার পথে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থানাধীন ভারত বাংলা সীমান্তের বৈঠাংবাড়ির দেববর্মা পাড়ায় সীমান্ত রক্ষী জওয়ানের হাতে আটক তিন বাংলাদেশী নাগরিক। ধৃতরা যথাক্রমে দিলীপ দেসাই(৮৪),লাখি দেসাই (৫৮) এবং আরতি দেসাই (৬৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার বড়ুয়াকান্দিতে। জানা গেছে,রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ গোপন খবরের ভিত্তিতে ভারত বাংলা সীমান্তের বৈঠাংবাড়ি বিওফির ১৩৯ নং সীমান্ত রক্ষী জওয়ানরা দেববর্মা পাড়া এলাকায় অভিযান চালায়।অভিযান চলাকালীন সময়ে ভারত সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে প্রবেশের পথে দিলীপ দেসাই,লাখি দেসাই এবং আরতি দেসাই নামের তিন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে সীমান্ত রক্ষী জওয়ানরা।পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালালে ধৃতরা জানায় সকলেই বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার বড়ুয়াকান্দির বাসিন্দা।এদিকে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে এদিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ধৃত তিন বাংলাদেশী নাগরিককে ধর্মনগর থানার পুলিশের হাতে সমঝে দেয় সীমান্ত রক্ষী জওয়ানরা। এমর্মে ধর্মনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায় নি। তাছাড়া পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেছে,তিন মাস পূর্বে অসমের করিমগঞ্জ জেলার হাতিখিরা এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশে করেছিল।তখন দালাল মারফত সাড়ে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে বৈঠাংবাড়ির মালাকার বস্তি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পুলিশ আরো জানিয়েছে,পাসপোর্ট এক্টে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।সোমবার ধৃতদের ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হবে। উল্লেখ্য যে,সম্প্রতি পার্বত্য ত্রিপুরা রাজ্যে যেভাবে অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিক ও রোহিঙ্গার আনাগোনা শুরু হয়েছে তাতে করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া রাজ্যের রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অবৈধ বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা ভারতের মাটিতে প্রবেশের আগাম কোন তথ্য নেই।অবশ্য বর্তমানের গোয়েন্দা পুলিশ কর্মীরা নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন না করে তুলা বানিজ্যে মজলে যে গোয়েন্দা পুলিশ অশ্ব ডিম্ব প্রসব করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।