ধর্মনগর:
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় নারীসহ আন্ত:রাজ্য চোরচক্রের আটজন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ রাজ্য পুলিশ।এদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষ। শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ। ধৃতরা যথাক্রমে সুন্দরী দাস (৪০), তাপসী দাস (৩৩), গোলাপি দাস (৫৫), বেণু দাস (৬০) মর্জিনা বিবি (৪৫)।তাদের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার বেড়াচাপা এলাকায়।তাছাড়া স্বপন মন্ডল (৪২) বাড়ি বেড়া চাপায়, চঞ্চল ঘোষ (২৭), বাড়ি কাটোয়ায় এবং সফিকুল সাহাজী (৪২) বাড়ি দেগঙ্গা এলাকায়। জানা গেছে, শুক্রবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ শহরের বিবেকানন্দ রোড স্থিত রাজন জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। পরে দোকানের মালিক ধর্মনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সাথে দোকানের সিসি টিভির ফুটেজ থানায় দেওয়া হয়। সিসি টিভি ফুটেজটি রাজ্যের সবকটি থানায় পাঠানো হয়। এই ফুটেজের সূত্রধরে এদিন রাতেই রাজধানীর কর্নেল চৌমুহনি সংলগ্ন একটি হোটেলে হানা দিয়ে এ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ব্রেসলেট, দুটি হার, ছয়টি কানের দোল, ছয়টি লকেট সহ কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রেজিস্ট্রেশনের একটি বলেরো গাড়িও জব্দ করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই আগরতলায় ছুটে যায় ধর্মনগর থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল।পরে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক পৌনে ছয়টায় ধৃত আটজনকে ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসে স্হানীয় থানার পুলিশ।যদিও ধৃতরা জানিয়েছে, ধর্মনগর থেকে একটি হাতের ব্রেসলেট চুরি করেছে।আর বাকি স্বর্ন গুলি পশ্চিমবঙ্গ থেকে চুরি করে আনা। এমর্মে উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের কাছ থেকে অপর একটি ব্রেসলেট উদ্ধার হয়েছে।স্হানীয় থানায় পুলিশ ১১৫ নম্বরের ভারতীয় দন্ডবিধির 448/120(B)/ 380 OF IPC ধারায় তদন্ত জারি রেখেছে। তিনি জানিয়েছেন, তাদের কাছ যে পরিমানে স্বর্নালঙ্কার উদ্ধার হয়েছে সবগুলি ধর্মনগর থেকে চুরি যাওয়া নয়। সুতরাং সেই স্বর্ন গুলি কোথা থেকে চুরি হয়েছে তা খোঁজে বের করতে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হবে। তিনি আরো জানান,অন্তরাজ্য এই চোর চক্রের সাথে রাজ্যের কোন চক্র জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। জানা গেছে রবিবার পুলিশি রিমান্ড চেয়ে ধৃতদের ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হবে।