Home BREAKING NEWS আর বাড়ি ফিরতে চান না, মনিপুরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো যুবতীর মা

আর বাড়ি ফিরতে চান না, মনিপুরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো যুবতীর মা

by News On Time Tripura
0 comment

মনিপুর:

আর কখনও নিজেদের গ্রামে ফিরতে পারবেন না। বাড়ি ফেরা অসম্ভব। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই জানালেন মণিপুরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এক তরুণীর মা। পুরো অশান্তির ঘটনায় তিনি দায়ী করলেন বিজেপি শাসিত মণিপুর সরকারকে। বললেন, অশান্তি ঠেকাতে তারা ব্যর্থ। গত ৩ মে থেকে মণিপুরে জাতিগত হিংসা শুরু হয়। সেই রেশ চলছে এখনও। রাজ্য জুড়ে হিংসায় কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের দেড়শো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরের কঙ্গপকপি জেলার একটি গ্রামে দুই মহিলাকে মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। শ্লীলতাহানি করা হয়। গ্রামছাড়া হয়ে দল বেঁধে আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই এই আক্রমণ হয়। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পুলিশ পদক্ষেপ করে। দুই নির্যাতিতার মধ্যে এক জনের মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি ওই ঘটনার পর থেকে অসুস্থ। মানসিক ভাবে ভাল নেই। তাঁর অভিযোগ, শুধু মেয়ের শ্লীলতাহানিই নয়, তাঁর স্বামী ও ছেলে প্রাণ হারিয়েছেন এই হিংসায়। তিনি বলেন, ‘‘উন্মত্ত জনতার হাতে আমার মেয়ে লাঞ্ছিত হওয়ার আগে ছেলে ও স্বামীকে খুন হতে হয়েছে।’’ কুকি এবং মেইতেই সংঘর্ষের ভয়াবহতার কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে মহিলার। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার ছোট ছেলেকে হারিয়েছি। ও ছিল আমার আশা-ভরসার জায়গা। দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করার পর ওকে ভাল জায়গায় পড়ানোর কথা ভেবেছিলাম। কষ্ট হলেও সেটা করতাম। আমার স্বামীকেও হারালাম। বড় ছেলের হাতে কোনও কাজ নেই। তাই পরিবারের কথা যখন ভাবি, আমি কোনও আশার আলো দেখি না। আমার আর কিচ্ছু নেই।’’হিংসার ঘটনা নিয়ে ওই মহিলা এনডিটিভির সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে ফেরার আর কোনও আশা নেই। ফেরার কথা আর চিন্তাও করি না… না, আমরা আর গ্রামে যাব না। আমি নিজে আর ফিরতে চাই না।’’ একটু থেমে তিনি আবার বলেন, ‘‘আমার ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে। আমি জানি না, আমার এবং আমার পরিবারের ভবিষ্যৎ কী। আমার আর কোনও আশা নেই।’’

You may also like

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries, but also the leap into electronic typesetting, remaining essentially unchanged.

Subscribe

Subscribe my Newsletter for new blog posts, tips & new photos. Let's stay updated!

© 2022 News On Time Tripura – All Rights Reserved. Developed by Cibato
Translate »