কদমতলাঃ
লাল বাড়ির দালালরা যে আজ পর্যন্ত বর্তমান পরিবর্তন গামী বিজেপি সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে তার এক জলজ্যান্ত প্রমাণ মিললো বুধবার ।এদিন দুপুর একটা নাগাদ উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন কুর্তি উচ্চতর মাধ্যমিক ফাজিল মাদ্রাসায় আব্দুল খালিক, আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল লতিফ ও রেনু আহমেদ নামের চার দুর্বৃত্ত দলবল নিয়ে প্রবেশ করে। তারপর দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাসে ঢুকে ছাত্র ছাত্রীদের রাস্তায় বের করে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।তাতে ছাত্র রুবেল আহমেদ,ইন্তেয়াজ হুসেন,তাঞ্জিদা আফরুজ,রকমা বেগম সহ আরো বেশ কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী গুরুতর ভাবে আহত হয়।অভিযোগ কয়েক দিন পূর্বে নাকি ঐ চার দুর্বৃত্তের নিকট আত্মীয়ের সাথে কয়েকজন ছাত্রদের ক্লাস রুমে বসার ডেক্স নিয়ে ঝামেলা হয়।তার জেরে সরকারি স্কুল চলাকালীন সময় স্কুলে ডুকে ছাত্র ছাত্রীদের টেনে হেঁচড়ে রাস্তায় বের করে প্রচন্ড ভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কদমতলা থানার পুলিশ ছুটে গেলে ঐ চার দুর্বৃত্ত ও তার সাঙ্গপাঙ্গ দ্বারা পুলিশ কর্মীদের উপর আক্রমন চালানো হয় বলেও আহত ছাত ছাত্রীদের অভিযোগ।পড়ে আহতদের কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মাঝে রুবেল আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে সে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও বাকিরা অল্পবিস্তর আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। এদিকে আহতদের তরফে ঐ চার দুর্বৃত্তের নামে কদমতলা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।ঘটনা একি থাকায় পুলিশ একটি মামলা গ্রহন করে তদন্ত শুরু করেছে কিন্তু ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ধরপাকড়ের কোন খবর নেই।তবে ওসি সুবীর মালাকার জানিয়েছেন দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কুর্তি উচ্চতর ফাজিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এনাম উদ্দিন। তিনি বিনয়ের সহিত জানিয়েছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটি,গ্রাম প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ও কদমতলা থানার ওসির সাথে তার কথা হয়েছে। আগামী শনিবার নাকি প্রয়াস মিটিং এর মাধ্যমে ঘটনাটি মিটমাট হবে।এখানে প্রশ্ন হল,সরকারি স্কুল চলাকালীন সময়ে ক্লাসের ভেতরে ঢুকে ছাত্র ছাত্রীদের টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধর করা হল সেই ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আপোসের মাধ্যমে ঘটনাটি মিটমাট করতে কেন চাইছেন প্রধান শিক্ষক?তাহলে কি ঐ চার দুর্বৃত্তকে পশ্রয় দিয়ে তিনিও পবিত্র শিক্ষাঙ্গনকে কুলসিত করলেন নাতো?প্রশ্ন না মহলে।তবে এবার দেখার পুলিশ এ ব্যাপারে কতটুকু আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করে।