কল্যানপুরঃ
বন দপ্তরের সাঁড়াশি অভিযান নজরে পড়ল কল্যাণপুরে। তেলিয়ামুড়া, খোয়াই, কল্যাণপুর, জীরানিয়া ইত্যাদি এলাকার শীর্ষ বন আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কল্যাণপুরে দিনভর অভিযান চলে।
প্রথমে খামারটিলা এলাকাতে অভিযান সংঘটিত হয়। জানা গেছে জনৈক বিধান দেবনাথের বাড়িতে রাখা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ফুট মূল্যবান কাট এই অভিযানে আটক করা হয়। গোটা বিষয় নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বন আধিকারিক সুপ্রিয় দেবনাথ দাবি করেছেন যখন ওনারা অবৈধভাবে মজুত করা এই বনজ সামগ্রীগুলো উদ্ধার করছিলেন তখন স্থানীয়রা একাংশ সমাজদ্রোহীদের মদতে গোটা জায়গায় একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করার অপচেষ্টা করেছিল। তবে সবকিছুকে মোকাবেলা করেই বর্ণ কর্মীরা যথেষ্ট ক্ষিপ্রতার সাথে উদ্ধার করা কাঠগুলো নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কাঠগুলোর মালিকানা সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য প্রদান করতে না পারলেও বন আধিকারিক শ্রী দেবনাথ দাবি করেছেন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির নিরিখে অনুমান করছেন এই কাঠ গুলো পরিচিত কাঠ ব্যবসায়ী লোকনাথ দেবনাথের, যদিও তিনি এটা দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি লোকনাথকে আটক করা সম্ভব হয়নি, তবে দপ্তর লোকনাথ দেবনাথকে জালে তোলার জন্য প্রয়াস জারি রেখেছেন বলে সুপ্রিয় দেবনাথ দাবি করেছেন। আজ একটা সময় খামারটিলাতে যখন বনকর্মীরা কাঠ উদ্ধার করতে যায় তখন মহিলাদেরকে সামনে এনে একাংশ সমাজদ্রোহীরা যেভাবে ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেছে তা বনদপ্তরের আধিকারিক সুপ্রিয় দেবনাথ নিন্দা করেছেন। এরপর কল্যাণপুর থানাধীন শান্তিনগর এলাকাতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ফুটের বেশি অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয় বলে দপ্তর সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন বিগত প্রায় বেশ কিছুদিন ধরেই কল্যাণপুরকে করিডোর করে একাংশ অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীদের কাঠ পাচার বাণিজ্য অব্যাহত। অবশেষে আজ এভাবে বন দপ্তরের কর্মীদের সারাশি সফল অভিযান নিশ্চিতভাবে ইতিবাচক লক্ষণ বলে একাংশের অভিমত। অবৈধভাবে কাঠ মজুত করার অভিযোগে এবং বন কর্মীদের উপর আক্রমণ করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই লোকনাথ দেবনাথ সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কল্যাণপুর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি অবৈধ কাঠ উদ্ধার করতে গেলে খামারটিলাতে একাংশ স্থানীয়রা বনকর্মীদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার পরিপেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা করার দিকে দপ্তর এগুচ্ছে বলে জানা যায়।