ধর্মনগরঃ
বুধবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে উদ্বোধন হলো আগর উড চাষীদের নিয়ে একদিনের সম্মেলন। উত্তর জেলা সদর হিসাবে ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবনে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এই মহতী অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করার কথা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহার। তিনি যথারীতি এদিন সকালে কলকাতা এক্সপ্রেসে আগরতলা থেকে ধর্মনগরে এসেছিলেন। কিন্তু বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম দলের বিধায়ক শামসুল হকের অকাল মৃত্যুতে সমস্ত ধরনের সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।তাই এদিন সকাল এগারোটায় ধর্মনগর বিবিআই স্কুল মাঠে ৭৩ তম রাজ্য ভিত্তিক বনমহোৎসব ও আগর উড চাষীদের নিয়ে সম্মেলন বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী।সেকারনে শুধুমাত্র বনদপ্তরের আধিকারিক নিয়ে আগর উড চাষীদের নিয়ে একদিনের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ,উত্তর জেলার কদমতলায় আগর চাষের প্রাচুর্যতা এবং সম্ভাবনাকে সামনে রেখে এই আগর উড সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। শুধুমাত্র কদমতলা নয় কদমতলা কে কেন্দ্র করে যেভাবে উত্তর জেলায় আগর চাষ বিস্তার লাভ করেছে আর সেই আগরকে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বীকৃতি দিতে এই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের এনসিই এর অধিকর্তা প্রবীণ আগারওয়াল, কেন্দ্রীয় সরকারের বন বিভাগ এর বিশেষ সেক্রেটারি সিপি গোয়েল, কেন্দ্রীয় সরকারের আগর সেক্টরের অতিরিক্ত অধিকর্তা এসপি যাদব,রাজ্যের বন বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কে এস সেঠি সহ বনদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। এই অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন উত্তর জেলার ডিএফও এইচ বিগনেশ। এদিনের অনুষ্ঠানে আগর উৎপাদনকারীদের যাদের আগরের ইউনিট রয়েছে এবং যারা আগর বাগান প্রদান সহ ব্যবসার সাথে যুক্ত তাদেরকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয় ও তাঁদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। শুধুমাত্র তাই নয় আগর ব্যবসায়ীরা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং কেমন করে তা নিরসন করে আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের উৎপাদিত আগরকে স্বীকৃতি দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্য শুধুমাত্র ভারত বর্ষ নয় বলা যায় আন্তর্জাতিক বাজারে আগরের ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা বিশেষ স্বীকৃতি পেয়ে গেল। পাশাপাশি উত্তর জেলা দীর্ঘদিন যাবত আগর উৎপাদনে সারা রাজ্যের মধ্যে একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকলেও স্বীকৃতি না পাওয়ায় এই ব্যবসাতে চোরাকারবারীদের আধিপত্য ছিল। রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগরকে শিল্পের মর্যাদা দিয়ে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করতে আগর ব্যবসায়ীদের বৈধতা দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে অবশেষে পুর্নতা পেল।