ধর্মনগরঃ
২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের পর
রাজ্যের বিরোধী দলগুলো এক প্রকার ঘর বন্দী হয়ে পড়েছে।তাদের ঘুমে রেখেই শাসক দল বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলীয় সংগঠনকে আরো মজবুত ও সক্রিয় করে তুলছে।মূলত ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে শাসক দল বিজেপি।বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি মন্ডলে মন্ডলে মন্ডলস্থরীয় সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।তারই অঙ্গ হিসাবে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ৫৪ কুর্তি কদমতলা বিধানসভা কেন্দ্রের কদমতলা মন্ডল এবং ৫৫ বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বাগবাসা মন্ডলের যৌথ উদ্যোগে চুরাইবাড়ি স্থীত কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হয় দলীয় সাংগঠনিক বৈঠক।এদিনকার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।এদিন সভাস্থলে পৌঁছে প্রথমেই তিনি দুটি বৃক্ষ রোপন করেন।পরে অতিথি বরণ এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মূল কর্মসূচি।অনুষ্ঠান মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন কদমতলা মন্ডলের মন্ডল সভাপতি রাজা ধর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার জেলা সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ,জহর চক্রবর্তী প্রমূখ।প্রথমে ফুলের তোড়া এবং উত্তরীয় পরিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেন স্থানীয় মহিলা কার্যকর্তারা।পরে একে একে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃত্ব সহ পঞ্চায়েত সদস্য সদস্যরা।সাংগঠনিক কর্মসূচি শুরুর পূর্বেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একটি দাবি সনদ তুলে ধরেন ৫৪ কুর্তি কদমতলা মন্ডল সভাপতি রাজা ধর।এদিকে সাংগঠনিক বৈঠক কর্মসূচি শুরুর পূর্বে এদিনকার সাংগঠনিক বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য সম্বন্ধে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত জানান স্থানীয় মন্ডল সভাপতি রাজা ধর।মূলত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনেই দলীয় প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার লক্ষ নিয়েই তাদের এই কর্মসূচি বলে জানান তিনি।
এদিকে দলীয়
সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালীন সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আগরতলা থেকে আসা সাংবাদিকদের হলের ভেতরে রেখেই স্থানীয় সাংবাদিকদের বেরিয়ে যেতে বলা হয়।যথারীতি তারা বেরিয়ে যান।কিন্তু প্রশ্ন হল দলীয় সাংগঠনিক বৈঠকে যদি সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আগরতলা থেকে আসা সাংবাদিক দের কেন বের করা হলো না?এ নিয়ে কিছুটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় মফস্বল সাংবাদিকদের মধ্যে।তাছাড়া এদিন কদমতলা মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক কে দিয়ে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করায় ক্ষোব্ধ হয়ে বহু বিজেপি কার্যকর্তারা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।কারণ গেল কিছুদিন পূর্বে কদমতলা ব্লকের সিমেন্ট চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে কদমতলা ব্লক আধিকারিক নিজেই আটক করেছিলেন মন্ডল সাধারণ সম্পাদকের গাড়ি।যার কোন বিচার হয়নি এখনো।এছাড়াও এদিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে গিয়ে ভুলভাল যা কিছু বলে যাচ্ছিলেন মন্ডল সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি নাথ।যা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কিছুটা বিরক্তবোধ করছিলেন।