উত্তরপ্রদেশ:
২০১৯ সালে পাকিস্তান থেকে পাবজি খেলার সূত্রে নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংহের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পাক গৃহবধূ সীমার। আলাপ থেকে ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সীমার স্বামী সৌদিতে থাকতেন, সন্তানদের নিয়ে তাঁকে একাই থাকতে হত। সেই একাকিত্ব জন্ম দেয় প্রেমের। অবশেষে অনেক পরিকল্পনা করে তিন বছরের প্রেমের পর নেপাল হয়ে গোপনে ভারতে প্রবেশ করেন সীমা। বেশ কয়েক দিনের লুকোছাপার পর গত ৪ জুলাই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। প্রেমিক শচীনকেও গ্রেফতার করা হয়। সীমাকে থাকতে দিয়েছেন বলে গ্রেফতার হন শচীনের বাবা। সীমার সন্তানেরাও তাঁর সঙ্গে জেল হেফাজতে ছিল। তবে গত শুক্রবার দু’জনেই জামিন পেয়েছেন। পাকিস্তানে রাজমিস্ত্রি স্বামীকে ছেড়ে ভারতীয় প্রেমিকের টানে ভারতে অনুপ্রবেশ করে গ্রেফতার হয়েছিলেন পাক গৃহবধূ সীমা হায়দার। জেল থেকে বেরিয়েই জানালেন, তিনি আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান না। ভারতীয় প্রেমিককে বিয়ে করে থেকে যেতে চান ভারতেই। নিজেকে ইতিমধ্যে ভারতীয় বলেও দাবি করে বসেছেন মহিলা। তাঁর দাবি, তিনি আন্তরিক ভাবে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। পাক বধূ জানিয়েছেন, তিনি প্রেমিকের সঙ্গে ভারতে নতুন করে সংসার পাততে চান।