ধর্মনগরঃ
রাজ্যে গার্হস্থ হিংসার ঘটনা থেমে নেই।এবার স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে এক গৃহবধূ।আহত গৃহবধূর নাম সফুল বিবি(৩০)। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থানাধীন যুবরাজ নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় নং ওয়ার্ডে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,আজ থেকে নয় বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম অনুসারে ধর্মনগর থানাধীন যুবরাজ নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাব উদ্দিনের সাথে চুরাইবাড়ি থানাধীন ফুলবাড়ী দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর উদ্দিনের মেয়ে সফুল বিবির বিয়ে হয়।বিয়ের পর সব ঠিকঠাক থাকলেও কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচার বলে অভিযোগ।স্বামী প্রায়শই শ্বশুর বাড়িতে টাকা চেয়ে স্ত্রীকে মারধর করতো বলে অভিযোগ।এরি মাঝে তাদের সংসারে একটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে জন্ম নেয়।এদিকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ যুবরাজ নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন লোক গৃহবধূ সফুলের বাবার বাড়িতে ফোন করে বলেন তাদের মেয়েকে তার স্বামী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপিয়ে আহত করেছে।খবর পেয়ে গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন পুলিশ ও দমকল কর্মীদের সাহায্যে রক্তালুপ্ত গৃহবধূকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূর মুখে মারাত্মক ভাবে আঘাত লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। অপরদিকে আহত গৃহবধূর ভাই জিয়া উদ্দিন জানান, কিছুদিন পূর্বে তারা বোনের স্বামীর চাপে পড়ে জায়গা কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন। তাছাড়া গ্রামবাসীদের কাছে জানতে পারে তার বোনের শশুর পূর্বে একটি মার্ডার করেছে। তাই বোনের শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের ভয় পেতেন।ঘটনার পরপরই ধর্মনগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।